এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন পালক মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে – আবার কেন্দ্রীয় প্রশংসা তাঁর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ ঘিরে

নতুন পালক মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে – আবার কেন্দ্রীয় প্রশংসা তাঁর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ ঘিরে


মিশন নির্মল বাংলায় সন্তোষজনক কাজের জন্য রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কেন্দ্রীয় ড্রিঙ্কিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন মন্ত্রকের সচিব পরমেশ্বরণ আইয়ার। সম্প্রতি তিনি রাজ্যে এসে পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজের তদারক করে গিয়েছেন। আর তাতেই পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকদের কাজ বেজায় খুশি তিনি। পঞ্চায়েত ভবনে সব জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে করে রাজ্য সরকারের তারিফ করে বলেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ভালো কাজ করেছে পশ্চিমবঙ্গ।

এগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণের পাশিপাশি বাকি কাজগুলোকেও অবিলম্বে শেষ করার বার্তা দিলেন এই কেন্দ্রীয় সচিব। জানালেন, রাজ্যের গ্রামীন এলাকায় আড়াই কোটি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ৯৫% বাড়িতেই শৌচালয় তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ শেষ করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রের এই উন্নয়ণমূলক প্রকল্প সম্পন্ন করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় সচিব। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ রা অক্টোবর স্বচ্ছ ভারত মিশনের অঙ্গ হিসাবে প্রকাশ্যে মল মূল ত্যাগ করা রোধ করতে প্রত্যেক বাড়িতে শৌচাগার তৈরির কর্মসূচি গ্রহন করে কেন্দ্র।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সেই কর্মসূচির অনুকরণে রাজ্যে নামকরণ করা হয় মিশন নির্মল বাংলা। নদীয়া জেলাই রাজ্যের ২২ টি জেলার মধ্যে প্রথম নির্মল জেলার খেতাব পেয়েছিল। এরজন্য কেন্দ্র সরকারের থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন নদীয়ার জেলার তৎকালীন জেলাশাসক পি বি সেলিম। এরপর একে একে রাজ্যের অন্য ১২ টি জেলাও নির্মল জেলা হিসাবে ঘোষিত হয়। এবার এই জেলাগুলোতে সত্যিই প্রত্যেকের বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতেই সম্প্রতি পরিদর্শনে আসেন কেন্দ্রীয় ড্রিঙ্কিং ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন মন্ত্রকের সচিব পরমেশ্বরণ আইয়ার। তারপরই কাজ দেখে রাজ্যসরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন তিনি।

দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় এই প্রকল্পের কাজ এগোলেও মূলত পাহাড়ে এই কাজ থমকে রয়েছে। তাই জিটিএর প্রধান সচিব ছোটেন ডি লামাকে চিঠি দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েত সচিব। সেই সঙ্গে যে ছটি জেলায় এখনও কাজ শেষ হয়নি, সেখানকার জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে নভেন্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন অজিত বর্ধন। আশ্বাস দিলেন পুজোর পরই বকেয়া কাজগুলো মিটিয়ে ফেলার এবং গোটা রাজ্যকেই নির্মল বাংলা বলে ঘোষণা করার লক্ষ্যমাত্রাও রেখেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই কর্মসূচির বাস্তবায়ণে কেন্দ্র সরকার ৬০% আর্থিক সাহায্য দান করে এবং রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে পাওয়া যায় ৪০% টাকা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!