এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নজর শিল্পায়ন, শিল্পপতিদের সাহায্যার্থে নতুন জমি খুঁজে তা সরকারের করতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন

নজর শিল্পায়ন, শিল্পপতিদের সাহায্যার্থে নতুন জমি খুঁজে তা সরকারের করতে মরিয়া রাজ্য প্রশাসন


 

2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই বড় শিল্প অপেক্ষা ছোট শিল্পের ওপর বেশি জোর দিতে দেখা যায় মমতা বন্দোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। অনেকে ভেবেছিলেন, ছোট এবং মাঝারি শিল্প থেকে যেহেতু বেশি পরিমাণে কর্মসংস্থানের দিক খুলে যায়, তাই তার ওপর জোর দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে ছোট, মাঝারি বা বড় শিল্প, রাজ্যে শিল্প স্থাপনে বরাবরই একটা জমির সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিন্তু সেই জমির সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য এবার উদ্যোগী হল রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প দপ্তর।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বড় শিল্পের জন্য রাজ্যে জমি পাওয়া যায় না বলে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। তবে এই অভিযোগকে দমিয়ে দিতে সরকারের হাতে যে ল্যান্ডব্যাঙ্ক আছে, সেখানে অনায়াসেই বড় শিল্প হতে পারে বলে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীকে। কিন্তু বড় শিল্পের জন্য ল্যান্ডব্যাঙ্ক থাকলেও শিল্পপতিদের ছোট শিল্পের জন্য জমি কিনতে সমস্যা হয় বলে দাবি। আর সেই সমস্যাকে মেটাতে উদ্যোগী হতে দেখা যায় রাজ্য সরকারকে। যেখানে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই শিল্প পার্ক এবং এস্টেট গড়ে তোলা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বর্তমানে রাজ্য ক্ষুদ্রশিল্প নিগমের আওতায় 52 টি এস্টেটে 765 একর জমি রয়েছে। তবে রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প দপ্তর চাইছে, প্রতিটি মহকুমা ভিত্তিক যাতে ছোটো শিল্পের জন্য এই জমি বরাদ্দ করা যায়, সেই কারণেই এবার 38 টি মহাকুমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট বা পার্কের জন্য জমি চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হল রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দফতর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেই জমি চিহ্নিত করবার জন্য রাজ্যের 21 টি জেলার জেলাশাসককে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে 100 একর জমির সন্ধান মিলেছে বলে খবর।

তবে অনেকেই বলছেন, যেখানে এখনও পর্যন্ত এস্টেটগুলো ভর্তি হয়নি, সেখানে সরকার কেন এই নতুন জমি খোঁজার কাজে হাত দিতে গেল! এদিন এই প্রসঙ্গে এক নিগমকর্তা বলেন, “ছোটো শিল্পের ক্ষেত্রে জমির পরিকাঠামো যেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই তার অবস্থানও সমান গুরুত্বপূর্ণ। কোনো পণ্য তৈরি হওয়া এবং তার চাহিদা ও বিপণনের অনেকটাই নির্ভর করে কোন এলাকায় শিল্প করা হচ্ছে তার ওপর। সেই কারণেই জেলাগুলোতে জমি খোঁজা হচ্ছে। এস্টেট তৈরি হলেই সেখানে রাতারাতি শিল্প আসবে, এমনটা নয়। কিন্তু শিল্প নিয়ে যাতে সরকারের ভূমিকা ও আন্তরিকতায় কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেই কারণেই এই জমির বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে রাজ্যে ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই শিল্পের জন্য জমি জোগাড়কে প্রাধান্য দিয়েছেন। আমরাও সেই কারণে জমি চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম জেলাশাসকদের। আর তারই ফলশ্রুতি হিসেবে প্রায় 100 একর জমি সন্ধান মিলেছে। আমরা তাই নতুন করে আবার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছি।” সব মিলিয়ে শিল্পায়নে বিপ্লব আনতে এবং শিল্পপতিদের সাহায্য করতে নতুন জমি খুঁজতে মরিয়া রাজ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!