এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ২০০৯ এর টেটের রায় নিয়ে নতুন করে জটিলতা, নতুন করে বিচারের নির্দেশ আদালতের

২০০৯ এর টেটের রায় নিয়ে নতুন করে জটিলতা, নতুন করে বিচারের নির্দেশ আদালতের

আইনি জট কাটিয়ে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন দেখেছিলেন ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু তাঁদের দুর্ভাগ্যের অবসান হচ্ছে না কিছুতেই। যেখান থেকে দৌড় শুরু করেছিলেন সেখানেই আবার গিয়ে দাঁড়াতে হল কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে। সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতির রায় গিয়েছিল তাঁদের পক্ষে। কিন্তু বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি আশা আরোরার ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলা পুনরায় সিঙ্গল বেঞ্চেই ফেরত পাঠালেন। নতুন করে আবার মামলাটি নিয়ে বিচার শুরু করা হবে। এই রায়ের পরই চূড়ান্ত হতাশ ২০০৯ সালের পরীক্ষার্থীরা।

আদালত সূত্রের খবর থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ হাজার শূন্যপদের জন্য ২০০৯ সালে দুই ২৪ পরগনা, মালদহ এবং হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল বাম সরকারের আমলে। ২০০৫-০৬ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যে যে মামলা করার তৎপরতা শুরু হয়েছিলো, তার জেরে প্রভাব পড়ে ২০০৯ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও। দীর্ঘদিনের আইনি জট কাটিয়ে ২০১৪ সালে শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া সফল পরীক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়। তার উপর ভিত্তি করে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মালদহের প্যানেল তৈরি হয়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার নির্দেশ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দপ্তর থেকে চলে যায় কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনের কাছে। কমিশনারও নিয়োগ করার অনুমোদনও দিয়ে দেন। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাতকারণবশত নিয়োগ থমকে ছিল প্রার্থীদের। এমনটাই উল্লেখ আছে মামলার বয়ানে। অন্যদিকে, শুনানির সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের শিক্ষার অধিকার আইনের নিয়ম মেনেই ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেট (টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট) পরীক্ষার নির্দেশিকা ঘোষিত হয়। নিয়ম এবং আইনি প্রক্রিয়া বদলের জেরে পর্ষদ নির্ধারিত শূন্যপদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে যায় ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব প্রাইমারি এডুকেশনের হাতে।

এই কারণেই পর্ষদ নিয়োগের জন্য প্যানেল তৈরি করেও তা কাজে লাগাত পারেনি। ফলে নিয়ম পরিবর্তনের শিকার হলেন হাজার হাজার প্রাইমারী শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থীরা। অবিলম্বে ২০০৯ সালের ওই প্যানেল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হোক, এই দাবী তুলে হাইকোর্টর দ্বারস্থ হন উত্তর ২৪ পরগনা ও মালদহের বহু পরীক্ষার্থীরা। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদনকারীদের দাবী যুক্তিসঙ্গত বিবেচনায় করে তাঁদের সমর্থনে রায় দেন। এবার সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ফের মামলা দায়ের করে বোর্ড এবং রাজ্য সরকার।

রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং আইনজীবী বিশ্বরূপ বিশ্বাসের যুক্তি, শুনানির আগে মামলাকারীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এমনকি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি বোর্ডকেও। এই প্রেক্ষিতেই ফের নতুন জট তৈরী হয়। বেঞ্চ রায় দেয়, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতিকে দুপক্ষের যুক্তি বিবেচনা করে নতুন করে এই মামলার রায় দিতে হবে। আগামী ৭ ই ডিসেম্বরের আগে রাজ্য সরকার এবং বোর্ডকে তাঁদের বক্তব্য পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের কোনো পাল্টা যুক্তি থাকলে তাঁরা সেটা ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতের জানাতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে, সবমিলিয়ে নতুন করে মামলার গেরোয় ২০০৯ এর টেট পরীক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!