এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বাবরি মসজিদের সমমাপের পাল্টা মসজিদ গড়ে উঠছে অযোধ্যাতে! থাকবে হাসপাতাল থেকে লাইব্রেরী

বাবরি মসজিদের সমমাপের পাল্টা মসজিদ গড়ে উঠছে অযোধ্যাতে! থাকবে হাসপাতাল থেকে লাইব্রেরী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে অযোধ্যায় রাম মন্দির করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সেই রাম মন্দিরের ভূমি পুজো সম্পন্ন হয়েছে‌। তবে এই ভূমি পুজোর দিন ঘোষণার পরেই অযোধ্যায় নতুন করে মসজিদ গড়ে উঠবে বলে জানা গিয়েছিল। যার ফলে নতুন করে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। মন্দির তৈরীর ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গেলেও, পাশাপাশি অন্যত্র মসজিদ গড়ার নিদান দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আর এবার, বাবরি মসজিদের সমমাপেই নতুন এক মসজিদ গড়ে উঠবে বলে জানিয়ে দিলেন, মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেই অযোধ্যায় নতুন মসজিদ গড়ে তোলার জন্য ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট গঠন করা হয়। আর এরপর থেকেই রাম মন্দিরের জায়গা থেকে প্রায় 25 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ধুন্নিপুরে মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, সেখানে 15 হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ তৈরীর প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু কেমন হবে এই নতুন মসজিদ? বাবরি মসজিদের মতই হবে, নাকি ভিন্ন রূপ হবে তার? এদিন এই প্রসঙ্গে মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা আতাহার হুসেন বলেন, “25 একর জমিতে 15 হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ গড়ে তোলা হবে। বাকি জায়গায় তৈরি হবে হাসপাতাল ও ইন্দো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের একটি মিউজিয়াম। পুর বিষয়টি সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস এস আখতারকে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “পাশাপাশি মিউজিয়ামটি সাজিয়ে তোলার বিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। নতুন মসজিদ বাবরির মাপে তৈরি হলেও, তার নকশার সঙ্গে কোনো মিল থাকবে না। থাকবে না কোনো সম্পর্ক। ইসলামের মূল উদ্দেশ্য, মানবিকতা ও ভারতীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনেই মসজিদ তৈরি হবে। মসজিদ তৈরির আগেই ওই জমিতে হাসপাতাল তৈরি করার কথা ভাবা হচ্ছে। করোনা আবহে মসজিদ থেকে স্থানীয় মানুষদের হাসপাতাল বেশি দরকার। এখানকার বাসিন্দারা অনেকদিন ধরেই সেই দাবি জানাচ্ছেন।”

আর আতাউর হুসেনের এই কথায় এখন ব্যাপক খুশির হাওয়া তৈরি হয়েছে। মসজিদ তৈরির মধ্যে দিয়ে সেখানে যেমন লাইব্রেরী তৈরি করে শিক্ষার বার্তা দেওয়া হবে, ঠিক তেমনই মানুষের সব থেকে প্রয়োজনীয় হাসপাতাল তৈরি করে এই মসজিদ তৈরীর উদ্যোগ যারা নিয়েছেন, তারা মানুষের পাশে থেকে মানবিকতার নয়া নজির স্থাপন করবেন বলেই আশা করছেন সকলে। এখন বাবরিতে মসজিদ স্থাপন কবে সম্পন্ন হয় এবং সেখানে কি চমক থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!