বিজেপির হিন্দুত্ববাদের মোকাবিলায় শাসকদলের সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট গঠিত – রইল একাধিক চমক কলকাতা রাজ্য August 23, 2018 এবার বিজেপির হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে বড়সড় নতুন রণকৌশল নিতে দেখা গেল রাজ্যের শাসকদলকে। গতকাল তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ট শিল্পী, সাহিত্যিক থেকে শুরু করে অভিনেতা এবং সিনেমার প্রযোজকরা এই লক্ষ্যেই জমায়েত হয়েছিলেন তৃণমূল ভবনে। বৈঠকে দলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফ থেকে ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা নাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা ব্রাত্য বসু, বিধায়ক তথা সিনেমা তারকা চিরঞ্জিত, দেবশ্রী রায়। পাশাপাশি চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, কবি সুবোধ সরকার, প্রসূন ভৌমিক, প্রাবন্ধিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, অভিনেত্রী জুন মালিয়া, বাচিক শিল্পী প্রণতি ঠাকুর, গায়ক সৌমিত্র রায়, টিভি সিরিয়াল ও সিনেমা প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে। এদিন ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, গোরক্ষা, দলিত নিগ্রহ এবং অসাম্প্রদায়িকতা সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তৃণমূল-ঘনিষ্ট বলে পরিচিত এই বিশিষ্ট জনেরা। অভিযোগে জানালেন, বিজেপি সরকার এসব ইস্যুগুলোতে ইন্ধন জোগাচ্ছে বলেই আজ দেশে অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আর এই হিংসাকে হাতিয়ার করেই রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে সঙ্ঘ। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বহুবার এই বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সবর হয়েছেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে বারবার জাতীয় স্তরে বিজেপির সঙ্গে এসব ইস্যুতে মোকাবিলার পাশাপাশি, এবার সেই লক্ষ্যে সমাজে বিশিষ্ট জনদের এক ছাতার তলায় আনার কাজও শুরু করে দিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের নির্দেশ মেনেই তৃণমূলের এই সাংস্কৃতিক শাখা বিভিন্ন সামাজিক বিতর্কের অবসান ঘটাতে সক্রিয় হবে। এমনটাই জানা গেল এদিনের সভার সূত্র থেকে। সভার সমাপ্তিতে অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী জানান, শাসকদলের সাংস্কৃতিক শাখা গঠনের লক্ষ্যেই এই মিটিং-এর আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় – সামন্য ইস্যুকে নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়, তার জেরে বিতর্ক দানা বাঁধে। এবার এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলেই কর্মীরা পথে নেমে এর মোকাবিলা করবে। আসন্ন লোকসভা ভোটের মরশুমে পদ্মশিবিরের সঙ্গে মোকাবিলা করতেই সাংস্কৃতিক কর্মীদের কাজে লাগানোর মাস্টারপ্ল্যান করল তৃণমূল করল, এমনটাই মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আপনার মতামত জানান -