এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > অনুব্রত-গড়ে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করাতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসরে অন্য নেতা! বাড়ছে জল্পনা

অনুব্রত-গড়ে তৃণমূলকে ঘুরে দাঁড় করাতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে আসরে অন্য নেতা! বাড়ছে জল্পনা


লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হওয়ার পেছনে দলের জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগের ব্যাপারে ত্রুটি যে প্রবল পরিমাণে দায়ী, তা ভালই বুঝতে পেরেছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনামাফিক “দিদিকে বলো” কর্মসূচি করে দলের সমস্ত স্তরের নেতৃত্বদের জনসংযোগে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হন তিনি।

রাজ্যের প্রতিটি জেলার মত সেই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি শুরু হয়েছিল বীরভূম জেলাতেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই বীরভূমের তৃণমূলের এক হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি, পার্টিকর্মী সেই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগ শুনতে শুরু করেন। যেখানে বীরভূমের প্রতিটি গ্রামে 300 টি ভিজিটিং কার্ড, 200 টি মোবাইলের স্টিকার এবং দশটি করে টিশার্ট বিতরণ করা হয়।

কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে প্রথমদিকে “দিদিকে বলোর” কর্মসূচি অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে ভালোমতো চললেও, পরের দিকে তা কিছুটা হলেও ঝিমিয়ে পড়ে। কিন্তু যাতে এই কর্মসূচিতে কোনোভাবেই ঢিলেমি না হয়, তার জন্য এবারে এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি সফল করতে বোলপুর মহকুমার পঞ্চায়েতের প্রধান এবং সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের কার্যালয় বোলপুরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখানেই সকল নেতৃত্ব এবং পদাধিকারীদের সঠিকভাবে এই কর্মসূচিতে শামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, “অনেকের অনেক অভিযোগ আছে। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের নেতাকর্মীরা অনেক সময় মানুষের কথা শোনেননি। এতে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মাঝখানে দিদিকে বলো কর্মসূচীতে ভাটা পড়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এবার আমরা গ্রামের মানুষের চোখ দিয়ে গ্রাম দেখব।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদীপ্তবাবুর এই কথাতেই পরিষ্কার যে অনুব্রত মন্ডলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বীরভূমে জনসংযোগ থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। আর তাইতো “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে দলের অনেকের ঠিকমতো সামিল না হওয়ায় এবার তাদের নিয়ে বৈঠক করে সেই কর্মসূচিতে যাতে প্রত্যেকে ঠিকমত অংশ নিয়ে সাধারন মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনেন, তার ব্যাপারে নির্দেশ জারি করতে হল জেলা তৃণমূলের এই নেতাকে বলে মত বিশ্লেষকদের।

কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ফল ভালো হলেও, নিজের গড়ে অনুব্রত মন্ডল দুটি আসনই তৃণমূলের হয়ে ধরে রাখেন। বিজেপির ভোটবৃদ্ধি হলেও, তৃণমূলের দাপট ছিল বেশ ভালো রকম। তবুও, তারপর থেকেই অনুব্রতবাবুকে কিন্তু সেভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যাচ্ছে না বলে গুঞ্জন। একদা যাঁর তর্জন-গর্জন খবরের শিরোনাম হত, যাঁর ডাকে বীরভূম জেলায় বাঘে-গরুতে জল ক্ষেত্রে একঘাটে – সেখানে দিদিকে বলো দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে আসরে নামছেন অন্য নেতা! রাজনৈতিক গুঞ্জনটা কিন্তু ক্রমশ বাড়ছে গোটা জেলা জুড়েই!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!