অটোর গায়েও নীল-সাদা – টোটো এবং ই-রিক্সা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য August 19, 2018 টোটো-র পাশাপাশি বেআইনিভাবে ই-রিক্সা চলাচল রুখতে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যে চলা প্রতিটি ই-রিক্সাকে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দিল আদালত। আদালতের নির্দেশ মেনেই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তবে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের দাবী, অবৈধ চলাচল রুখতে রাজ্যে ই-রিক্সার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বছর দুয়েক আগে। সে কাজ এখনো সমানতালেই এগোচ্ছে। বাকি আর কতোগুলো ই-রিক্সার রেজিস্ট্রেশান নেই, সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে অবিলম্বেই। পরিবহন দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশের যে কোনো কোম্পানির উদ্যোগে কোনো গাড়ি রাস্তায় চলাচলের আগে দরকার পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার অনুমোদনের। আইক্যাট, এআরএআই, সিআইআরটি সহ এ ধরনের মোট ছটি সংস্থা আছে জাতীয় স্তরে। নতুন মডেলের গাড়িটিতে কোনো গলদ আছে কিনা, তা রাস্তায় চলার উপযোগী কিনা সবদিক খতিয়ে দেখে তবে ছাড়পত্র দেয় ওই সব বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলি। তবে টোটোর ক্ষেত্রে এইসব সংস্থার কোনো অনুমোদনই নেই। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে আর তাই টোটোর জায়গা নিয়েছে টোটোর মতোই দেখতে তবে গুনগত মানে উন্নত ই-রিক্সা। এরা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন পেয়েই রাস্তায় চলছে। তবে এ প্রসঙ্গে উঠেছে টোটো এবং ই-রিক্সার পার্থক্যের বিষয়টি। রাজ্যে প্রশাসনের এক কর্তা এ বিষয়ে জানালেন, গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই ক্রেতাদের কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত বৈধতার শংসাপত্র দেখেই কিনতে হবে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হবে আরো চার-পাঁচটি অফিসে। ই-রিক্সার বিভিন্ন সংস্থা ‘বাই ব্যাক পলিসি’-তেও টোটো নিয়ে দামে কিছুটা ছাড় দিয়েই ই-রিক্সা বাজারে বিক্রি করছেন। কাজেই বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো জায়গাই তৈরি হচ্ছে না। এর পাশাপাশি অবাধ অটো চলাচল রুখতেই নতুন নীতি ঘোষণা করার খবর পাওয়া যাচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। দিন দুয়েক আগেই কসবায় পরিবহন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নয়া নির্দেশিকা ঘোষণা করার কথা ছিল পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত সেদিন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা যায়নি। নয়া নীতিতে অবৈধভাবে রাজ্যের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে যেসব অটো, তাদেরকে কাগজপত্র সংশোধন করার সময় দেওয়া হবে। এমনকি অটো চলাচলের রুটগুলোও আইনে বেঁধে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কলকাতার আরটিএ’র এলাকা বাড়িয়ে হাওড়া, বিধাননগর এবং ব্যারাকপুর কমিশনারের আওতায় আনা হয়েছিল বছর কয়েক আগেই। এবার কলকাতা আরটিএ এলাকায় যেসব অটো চলবে, সেগুলিকে যাতে আলাদাভাবে চেনা যায় তার জন্য সবুজ-হলুদ অটোর গায়ে নীল-সাদা বর্ডার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এমনটাই জানা যাচ্ছে পরিবহন দপ্তরের সূত্রের খবর থেকে। তবে বর্ডারের রং-এর ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত করা হয়নি কিছু। পরবর্তী পর্যায়ের বৈঠক করে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তারা। আপনার মতামত জানান -