এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > জমজমাট মতুয়া রাজনীতি – প্রধানমন্ত্রীর উপরেই ‘আস্থা’ রাখছেন চিঠি দিয়ে জানালেন ‘বড়মা’, ‘সই জালের’ তত্ত্ব মমতাবালা ঠাকুরের

জমজমাট মতুয়া রাজনীতি – প্রধানমন্ত্রীর উপরেই ‘আস্থা’ রাখছেন চিঠি দিয়ে জানালেন ‘বড়মা’, ‘সই জালের’ তত্ত্ব মমতাবালা ঠাকুরের

এবারের লোকসভা ভোটে মতুয়া রাজনীতি একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতে দফায় দফায় চেষ্টা করতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়কেই। এতে সন্দেহ নেই কোনো যে, আসন্ন লোকসভা ভোটে বেশ কিছু আসনে এই ভোটব্যাঙ্ক যে কোনো রাজনৈতিক দলের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আর এই কথাতেই আস্থা রেখে সম্প্রতি ঠাকুরনগরে সভা করে গেলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি সেখানে এসে দেখা করে গিয়েছেন মতুয়া মহাসংঘের বড়মা-র সঙ্গেও। লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই ঠাকুরনগর সফরকে গেরুয়াশিবির রাজনৈতিক রং লাগাতে না চাইলেও বিশেষজ্ঞের দাবী, মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থেই ঠিক নির্বাচনের মুখে মতুয়াদের নিয়ে সভা করে গেলেন মোদী।

আর সেই সফরের রেশ কাটতে না কাটতেই মতুয়া ঠাকুরবাড়ি থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে তৃণমূলের সমর্থন আদায়ের জন্যে চিঠি গেল। বিজেপি নেতা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের পুত্র শান্তনু ঠাকুরের দাবী, খোদ বড়মা বীণাপানি দেবী মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠি লিখেছেন এবং এই চিঠিতে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংসদে পাশ হলে সবথেকে বেশি লাভবান হবে মতুয়ারা। তাই রাজ্যসভায় এই বিল পাস করাতে তৃণমূল যেন সমর্থন দেয়। নয়তো মতুয়ারা আর তৃণমূলের পাশে থাকবে না। এমনটাই জানিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অসমে যখন জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত রিপোর্টকে কেন্দ্র করে উত্তাল অবস্থা, তখন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মতুয়ারাই এনআরসির বিরোধীতা করেছিলেন। বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এই বিল বিরোধী প্রতিবাদ ধর্মঘট করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঠাকুরনগর আসার পর এমন কি হল যার জেরে এখন উল্টো সুরে কথা বলছেন তাঁরা? স্বাভাবিক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিকমহলে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ লোকসভায় পাস হলেও, রাজ্যসভায় আটকে রয়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে এই বিলের বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর দাবী করেন, বড়মা বীণাপাণি দেবী এই চিঠি তাঁর মাধ্যমেই নবান্নে পৌছে দিয়েছেন। আর সেজন্যেই সোমবার সকালে মেল মারফত সেই চিঠি নবান্নে পাঠানো হয়।

তবে শান্তনু ঠাকুরের এই দাবী একেবারেই ভিত্তিহীন বলে জানান তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এদিন নদীয়ার নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বড়মার বয়স একশো পেরিয়েছে। তিনি সই-ই করতে পারেন না। ওই চিঠি জালি ও মিথ্যা। আমরা এর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব।’ পাল্টা দাবীতে মমতাবালা ঠাকুর জানিয়েছেন, কেন্দ্রে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মতুয়া সম্প্রদায়। তাই রাজ্যসভায় এই বিলের বরাবরই বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর শান্তনু ঠাকুর মিডিয়াকে যে চিঠি দেখিয়েছেম তা একেবারেই ভুয়ো – এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই তাঁর। কারণ বড়মার একশ পেরিয়ে গেছে, তিনি এখন লিখতেই পারেন না। আর তাই এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবী করেছেন মমতাবালা ঠাকুর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!