এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায়ের উপর বড়সড় চাপ বাড়িয়ে এবার নতুন পদক্ষেপ পুলিশের! বাড়ছে জল্পনা

মুকুল রায়ের উপর বড়সড় চাপ বাড়িয়ে এবার নতুন পদক্ষেপ পুলিশের! বাড়ছে জল্পনা


বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবি করতে দেখা গেছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়কে। আর এবার মুকুল রায়ের অস্বস্তি বাড়াতে ফের বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, জোনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মামলায় এবার দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পার্থসারথি দাসের নেতৃত্বে সিট গঠনের প্রক্রিয়া করা হল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস আগেই এই কমিটিতে সদস্য পদ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে দফায় দফায় 70 লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে বলে সরশুনা থানায় অভিযোগ করেন বেহালার বাসিন্দা সন্তু গাঙ্গুলী। যেখানে এই টাকা দেওয়ার প্রমাণস্বরূপ বেশকিছু নথি এবং ছবি তিনি পুলিশের হাতে তুলে দেন। শুধু তাই নয়, কারা তার হয়ে এই ব্যাপারে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, সেই কাগজটিও তিনি থানায় জমা করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপরই সরশুনা থানা তদন্ত শুরু করলে সেখানে একাধিক বিষয় উঠে আসতে শুরু করে। তদন্তকারীরা দাবি করেন, এর পেছনে দিল্লির বেশ কয়েকজন বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা জড়িত রয়েছেন। তাই তদন্ত প্রক্রিয়া করতে গেলে একাধিক অফিসারদের লাগবে বলে জানান তারা। আর এরপরই ডিভিশনাল স্তরে সিট গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার এই সিট গঠনের নির্দেশিকা জারি হতেই শুক্রবার এই ব্যাপারে একপ্রস্থ বৈঠক করেন সিটের সদস্যরা।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে এক ব্যক্তি আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মেমো নম্বর চুরি করার যে ঘটনা ঘটেছে, তা যদি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর কাছে চিঠি হিসেবে পাঠানো হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত অন্য দিকে এগোতে পারে বলে দাবি তদন্তকারীদের একাংশের। তবে অনেকে আবার বলছেন, যদি রেলমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সেই চিঠি সত্যি হয়, তাহলে না জানা কোনো ব্যক্তির হয়ে দিল্লির হেভিওয়েট দুই রাজনৈতিক নেতা কেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রীর কাছে এই চিঠি পাঠালেন?

এই সব কিছুই এখন খতিয়ে দেখবে তদন্তকারীরা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই সেক্ষেত্রে গোটা ব্যাপারটর রহস্য উন্মোচন করতে অনেকেই জেরা করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় মুকুল রায়ের আবেদনের ভিত্তিতে, আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে – তার ফলে আগামী ৯ ই নভেম্বর পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ। এদিকে গেরুয়া শিবিরের একাংশ মনে করছে, আসন্ন উপনির্বাচনে মুকুল-ফ্যাক্টর আটকাতেই সিট গঠন করে চাপ বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!