এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমপানের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা পাননি? হাইকোর্টে নতুন মামলায় ঘুম উড়বে মমতার?

আমপানের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ টাকা পাননি? হাইকোর্টে নতুন মামলায় ঘুম উড়বে মমতার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দূর্যোগ আমপানের পর অনেক জায়গাতেই গরীব মানুষরা সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে নানা পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে শুরু করে প্রধানের ঘনিষ্ঠদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠিয়ে দিলেও যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তারা কোনও সাহায্য পাননি বলে নানা স্তরে অভিযোগ উঠতে দেখা গেছে‌। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুর্নীতি গ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছে শাসক দল।

পাশাপাশি রাজ্যের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকেই এই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন। কিন্তু সত্যি সত্যিই কি প্রত্যেক এই ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন? জানা গেছে, প্রায় 400 ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। তাই তাদের পক্ষ থেকে এবার জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। স্বাভাবিকভাবেই এই মামলায় এখন রাজ্য সরকারের অস্বস্তি অনেকটাই বৃদ্ধি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি আগামী 10 দিনের মধ্যে এই ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। জানা যায়, এদিন কাকদ্বীপের কৃষক খায়রুল আলম শেখ এবং আইনজীবী নুর ইসলাম শেখ ও সমিক বাগচী আদালতকে জানায়, আদালত যদি চায়, তাহলে দুই 24 পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তত এক লক্ষ কৃষকের হদিস মিলবে, যারা এখনও পর্যন্ত ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও এই দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি। শুধু তাই নয়, এই ব্যাপারে অনেকে বিডিও অফিসে গিয়ে বললেও তাদের পুলিসের পক্ষ থেকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

স্বাভাবিক ভাবেই কেন সঠিকভাবে তাদের ত্রাণ দেওয়া হল না, তা নিয়ে জানতে চেয়েছেন মামলাকারীরা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এভাবে বহু আবেদনকারীর আবেদন কেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তার কারণ জানতে চেয়েছে আদালত। এদিন আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের মধ্যে পড়ে। তাই রাজ্যের এমন কর্তৃপক্ষকেই মামলায় যুক্ত করা দরকার। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে এই মামলায় যুক্ত করায় রাজ্য সরকারের চাপ অনেকটাই বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদি সত্যি সত্যিই প্রমাণিত হয় যে, গোটা ঘটনায় দুর্নীতি হয়েছে, তাহলে রাজ্যকে হাইকোর্টের ভৎসনার মুখে পড়তে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল। জানা গেছে, আগামী 17 আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ফলে পরবর্তী শুনানিতে এই ব্যাপারে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে কি বক্তব্য পেশ করা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!