এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রীর সভায় দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্যের তদন্তে বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য,ব্যাকফুটে রাজ্য-সরকার?

প্রধানমন্ত্রীর সভায় দুর্ঘটনা নিয়ে রাজ্যের তদন্তে বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য,ব্যাকফুটে রাজ্য-সরকার?


গত মাসেই মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা চলাকালীন হঠাৎ করেই দর্শকদের অস্থায়ী শামিয়ানা ভেঙে পড়ে। এর জেরে আহত হন প্রায় শ-খানেক মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এরকম দুর্ঘটনার জেরে রাজনৈতিকমহল সহ প্রচারমাধ্যম বেশ তোলপাড় হয়েছিল। পারস্পরিক অভিযোগের বন্যা বয়ে গিয়েছিল বিজেপি এবং রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে।

দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তে নামতে হয়েছিল গত মাসের ১৬ তারিখ। আর এবার সেই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। যার জেরে ফের অস্বস্তিতে পড়তে হল রাজ্য-সরকারকে – চাপানউতোর তুঙ্গে দলের অন্দরে। দেশের প্রধানমন্ত্রী সভার জন্য নিরাপত্তাসহ একাধিক বিষয়ে যে আয়োজন করা বাঞ্ছনীয় তা করেনি রাজ্যসরকার। এমনকী প্রধানমন্ত্রী কোনো জায়গায় গেলে যে ব্লু বুক মানা হয়, সেটাতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে।

জেলা প্রশাসন এবং পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃৃপক্ষের গা ঢিলেমি ভাব ছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন জেনেও। নিজেদের দায়িত্ব তাঁরা ঠিকভাবে পালনই করেননি বলেও অভিযোগ উঠল। সবথেকে বড় কথা, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় জেলাশাসকই হাজির ছিলেন না। এমনকি ছিলেন না পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সুপারও। তাঁর জায়গায় অন্য জেলার সুপারকে দায়িত্ব নিতে হয় – এইসব গলদই সামনে এসেছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটির রিপোর্টে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এই সব নজিরবিহীন ঘটনায় হতবাক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী বাহিনী। তদন্তকারী অফিসারেরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কোনো জায়গায় সভা করতে গেলে জেলাশাসকের সেখানে উপস্থিত থাকাটাই স্বাভাবিক – কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা ঘটেনি। সকলেই নিজের দায়িত্ব থেকে পিছিয়ে গেছেন। সবথেকে বড়কথা, জনসভায় ডিআইজি বা আইজি পদমর্যাদার কোনো অফিসারের টিকিটিও নাকি দেখা যায়নি, দুর্ঘটনা ঘটার পর তাঁরা তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌছান – এমনটাই তদন্তে উঠে এসেছে।

এর পাশাপাশি আরো জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ড্রেস রিহার্সাল করা হয়নি। উদ্যোক্তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসকরা কোনো যোগাযোগ করার প্রয়োজনও মনে করেননি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ এতোটাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল যে, অস্থায়ী শামিয়ানার উপর অতিরিক্ত দর্শক উঠলেও খেয়াল করেনি বা বাধা দেয়নি। এর জেরে ৯০ জনেরও বেশি মানুষকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় – বলে তদন্তের রিপোর্টে জমা পড়েছে বলে দাবি।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে দুর্ঘটনার দায় ফের একবার রাজ্য সরকারের ঘাড়ে চাপানোর জেরে বেশ চাপে পড়ে গেলেন নবান্ন কর্তারা। এখন তাঁদের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তাছাড়া এ নিয়ে মিডিয়ার সামনে রাজ্যসরকারের তরফে কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়াও জানা যায়নি এখনো পর্যন্ত। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভায় দুর্ঘটনা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!