এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেতনে ক্ষতি 2-20 হাজার, সঙ্গে সার্ভিস ব্রেক, নতুন স্কুলে যোগ দেওয়া কর্মরত শিক্ষকদের বঞ্চনা অব্যাহত

বেতনে ক্ষতি 2-20 হাজার, সঙ্গে সার্ভিস ব্রেক, নতুন স্কুলে যোগ দেওয়া কর্মরত শিক্ষকদের বঞ্চনা অব্যাহত

ছয় মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত নতুন স্কুলে যোগ দেওয়া কর্মরত শিক্ষকদের বেতনের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবার তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল। জানা গেছে, এই সমস্ত শিক্ষকরা নতুন স্কুলে যোগ দেওয়ার পর বেসিক পে ব্যান্ড অনুযায়ী বেতন পাওয়ায় অনেকের মাসে 2-3 হাজার টাকা থেকে 15 – 20 হাজার টাকা পর্যন্ত লোকসান হচ্ছে।

এমনকি আশঙ্কার কারণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যখন শোনা যাচ্ছে যে, এই সমস্ত শিক্ষকদের সার্ভিস ব্রেক’ পর্যন্ত হতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে যে তাদের অবসরের পরে চরম সমস্যায় পড়তে হবে সেই ব্যাপারে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তবে ভবিষ্যতেই শুধু নয়, এখন থেকেই তাদের এই ব্যাপারে চরম মূল্য চোকাতে হবে বলে মনে করছে একাংশ।

জানা গেছে, 1999 সালে চাকরি পাওয়া এক শিক্ষক বাড়ির কাছাকাছি পোস্টিং পেয়ে 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেখানে যোগ দেন। অভিযোগ, এরপর থেকেই তাকে সমস্ত সিনিয়রিটি থেকে বঞ্চিত করার পাশাপাশি বেতন হিসেবে প্রায় কুড়ি হাজার টাকা কম দেওয়া হচ্ছে।

এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এই সমস্ত ব্যক্তিদের প্রভিডেন্ট ফান্ডও কাটা শুরু হয়েছে। আর এই ব্যাপারে ডিআই অফিসে জানানো হলেও সেখান থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আগে আপনারা বেতনের ব্যাপারটা মিটিয়ে আসুন। তারপরে হিসেব হবে। এছাড়াও মেডিকেল লিভ বা অন্যান্য টানা ছুটি এই সমস্ত প্রার্থীরা পাচ্ছেন না। হলে সেখানেও তৈরি হয়েছে জটিলতা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ধরনের প্রার্থীদের একই পদে থেকে কেউ পরীক্ষায় বসার আবেদন করতে পারবেন না বলে কিছুদিন আগেই এসএসসির পক্ষ থেকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেক্ষেত্রে পোস্ট গ্রাজুয়েট শিক্ষকদের কোনো সুযোগ থাকবে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মরত শিক্ষকদের নতুন করে সমতুল্য পদের জন্য পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক জায়গার স্কুলে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার একটা উদ্দেশ্য থাকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, হাতে একটি চাকরি থাকায় ভালো স্কুল না পেয়ে অনেকে কাজে যোগ দেন না। ফলে সেকারনে শূন্যপদ থাকার জন্য কাউন্সেলিংও অনেকদিন ধরে করতে হয়। কিন্তু তাও ঠিক মত পদ পূরণ না হওয়ায় এসএসসি বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই যুক্তি খাড়া করে কর্মরতদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। কবে মিটবে শিক্ষকদের এই সমস্যা?

সূত্রের খবর, বিকাশ ভবনের তরফে অর্থ দপ্তরে ফাইল পাঠানো হলেও সেখান থেকে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে সেই ফাইল আবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। এখন অর্থ দপ্তরের পাঠানো ফাইলের পরিপ্রেক্ষিতে বিকাশ ভবন তাদের জবাবে অর্থ দপ্তরের কবে সেই ফাইল পাঠায় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!