এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি ঘিরে চড়ছে ক্রমশ রাজনীতির পারদ, জল্পনা হেভিওয়েটের দল ছাড়া নিয়েও

রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটি ঘিরে চড়ছে ক্রমশ রাজনীতির পারদ, জল্পনা হেভিওয়েটের দল ছাড়া নিয়েও


বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জল্পনা অনেকদিন ধরেই চলছিল যে ২০২১ এর লক্ষে নতুন করে বঙ্গ বিজেপিকে সাজানো হবে। কারা হবেন সেই নতুন কান্ডারি , কাদের নেতৃত্বে ২০২১ লড়বে বঙ্গ বিজেপি তা নিয়ে ক্রমশ জলঘোলা হচ্ছিলো। কিন্তু সমস্ত বিতর্ক, জল্পনাকে সরিয়ে রেখে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপঘোষ ,তাঁর নতুন সৈনিকদের নাম ঘোষণা করলেন।

অনেকের নাম বাদ গেছে অনেকে আবার যুক্ত হয়েছেন কিন্তু জল্পনা ছড়িয়েছে একটি নাম তা হলো চন্দ্র বসু। তিনি পদ হারালেন। দিলীপ ঘোষের নতুন সেনাদের দলে কোথাও নেই নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসুর নাম যা নিয়েই ছড়িয়েছে জোর জল্পনা। কেননা তিনি অনেক পুরোনো সদস্য। নতুনরা অনেকেই পদ পেয়েছেন, সাথেই তৃণমূল থেকে আসা অনেকে পদ পেয়েছেন সেখানে কেন পদ হারালেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পরিবারের সদস্য চন্দ্র বসু তা নিয়েই শুরু জল্পনা।

প্রসঙ্গত, তিনি ছিলেন দলের সহ সভাপতি। কি কারণে তাঁকে পদ খোয়াতে হলো সেই নয় শুরু জল্পনা। স্পষ্ট কারণ না জানলেও অনেকের অনুমান চন্দ্র বসু অনেকবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন যে কারণে তাঁকে পদ হারাতে হলো। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মূর্তির হাতে দলীয় পতাকা দেখে বেজায় চটেছিলেন বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু।এই নিয়ে দিলীপ ঘোষের হস্তক্ষেপ ও দাবি করেছিলেন।

সেখানেই শেষ নয়, এদিকে এর আগে জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলই হোক বা সিএএ। একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে গেরুয়া শিবিরকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছিলেন চন্দ্র বসু। সম্ভবত সেই কারণেই চন্দ্র বসুকে আর দলের প্রথম সারিতে রাখা হল না বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আর এদিকে তাঁর পদ হারানোর পর তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও উঠেছে জল্পনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেননা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে তাঁর রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ করলেও নেতাজির ভাবাদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি চলতে চেয়েছিলেন বরাবর। তিনি সর্বসমক্ষে জানিয়েছেন, “আমি নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করি। যদি কেউ এর বিরুদ্ধে যায় তবে আমি আওয়াজ তুলবই। আমি বৈষম্যমূলক নয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাসীI”তাই তাঁর মতে কিছু অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করেছেন। আর তাই কি হারালেন পদ, ছাড়বেন দল? উঠেছে প্রশ্ন। আর এই নিয়ে এদিন চন্দ্রবাবু মুখ খোলেন।

এদিন তিনি জানান যে,”কয়েক মাস আগে বাংলায় দলের নেতৃত্বের কাছে আমাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বলেছিলাম, যাতে আমি সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারি। সক্রিয় হয়ে কাজ করতে পারি। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কথার প্রত্যুত্তর দেয়নি। আমাকে কোনও দায়িত্বও দেওয়া হয়নি। আজ জানলাম কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি।” তবে দল ছাড়বেন কিনা কিংবা এই নিয়েই সরাসরি মোদী শাহের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দেবেন তা জানা যায়নি এই নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে ক্ষোভ যে বেড়েছে তা বলছেন অনেকেই।

কেননা আগে তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অযোগ্য-অক্ষম বলে তোপ দেগেছিলেন। আর এরপর ফের রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটিতে তাঁর স্থান হলো না। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে তাঁর বনিবনা চলছিল না।এবার কি তবে বিজেপিকে বিদায় জানাবেন নেতাজির নাতি চন্দ্র বসু? নাকি তিনি মোদীকে আদর্শ করে বিজেপিতেই রয়ে যাবেন? তা নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেননি চন্দ্র বসু। তবে বিভিন্ন বিষয়ে, যেমন- সিএএ ইস্যুতে বিজেপির আক্রমণাত্মক অবস্থান থেকে শুরু করে লকডাউন দ্বারা অভিবাসীদের দুর্দশার দিকে নজর দেওয়া পর্যন্ত নানা ইস্যুতে তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। বাদ পড়ার পর কিন্তু তাঁর টুইটার এখনও গর্জে ওঠেনি। তাঁর ওই গর্জে ওঠার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিকমহল। তাদের তে, তিনি মুখ খুললেই তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ বোঝা যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!