এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টায় ধৃত প্রধান ২ অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থক, ‘গাঁজা কেস’ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চরমে

তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুনের চেষ্টায় ধৃত প্রধান ২ অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থক, ‘গাঁজা কেস’ দেওয়া নিয়ে জল্পনা চরমে

ইদানিং রাজ্য রাজনীতিতে যেন শুরু হয়ে গেছে রক্তক্ষয়ী অধ্যায়। সম্প্রতি একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বা নেতাকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা বা হামলার চেষ্টা হয়েছে। প্রথম হামলাটি হয় জয়নগরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের উপর। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও, পরবর্তীকালে তাঁরই সতীর্থ কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়।

সেই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই – কাটোয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় ৬ জনের প্রমীলা বাহিনী। আবার তার কিছুদিনের মধ্যেই বজবজ পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মিঠুন টিকাদারকে দলীয় অফিসে ঢুকে বোমা মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগে আবারো কেঁপে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই শাসকদল দ্বর্থ্যহীন ভাষায় অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, মজার কথা তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশ বা সিআইডি যাদের গ্রেপ্তার করেছে – প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে তাদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগই সুস্পষ্ট। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি এই সব ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে। আর বিজেপির সেই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে এবার মিঠুন টিকাদারকে খুনের চেষ্টায় প্রধান দুই অভিযুক্ত – কামাল খান ও মহম্মদ কায়েসকে গ্রেপ্তার করল মহেশতলা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, দুজনেই এলাকায় তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত এবং একসময় মিঠুনবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে অবশ্য মিঠুনবাবুর বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গেই এই দুজনকে বেশি ওঠাবসা করতে দেখা যায়।

এদিকে, মিঠুন টিকাদারকে হত্যার চেষ্টায় কামাল খান ও মহম্মদ কায়েসকে গ্রেপ্তার করা হলেও আলিপুর আদালতে দুজনের বিরুদ্ধেই গাঁজা সহ গ্রেপ্তারের কেস দেওয়া হয়। যা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে স্থানীয় মহলে – নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেরই বক্তব্য, ‘উপরমহলের’ চাপেই বোধহয় ‘হত্যার ষড়যন্ত্রের’ কেস না দিয়ে ‘গাঁজা কেস’ দেওয়া হচ্ছে। কেননা, ঘটনার পরেই শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ব বিজেপির দিকে আঙুল তুললেও – মিঠুনবাবু দলের অপর গোষ্ঠীর দিকেই আঙুল তোলেন। যদিও, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, আদালত ছুটির সুযোগ নিয়ে যাতে ধৃতরা কোনোমতেই জামিন নিতে না প্রাণ তাই ‘গাঁজা সহ গ্রেপ্তারের’ ব্যাপারটাও আদালতকে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরকে হত্যার চেষ্টা মামলা নিয়ে রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!