এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিবি এক্সক্লুসিভ – চিটফান্ডের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কখন ধরা পরে কে জানে!!

পিবি এক্সক্লুসিভ – চিটফান্ডের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কখন ধরা পরে কে জানে!!


চিটফান্ডের কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের গঠিত সিটের তৎকালীন প্রধান তথা কলকাতার বর্তমান পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, বিশেষ আগ্রহ তৈরী হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতেও। রাজীব কুমারকে তিন-তিনবার শমন পাঠালেও সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন নি তিনি। আর তাই তাঁর বাসভবনেই সিবিআইয়ের দল পৌঁছে গেলে, সিবিআই আধিকারিকদের ঘাড় ধরে বা চ্যাংদোলা করে আটক করে কলকাতা পুলিশ। ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ‘গণতন্ত্র লুন্ঠিত’ হচ্ছে বলে ক্ষোভে ফেটে পরে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে যান খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু, এত কিছু করেও আটকানো যায় না রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের জেরার হাত থেকে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শিলংয়ে সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে গত শনিবার থেকে টানা পাঁচদিনে ৩৮ ঘন্টা জেরার মুখোমুখি হতে হয় রাজীব কুমারকে। আপাতত, তাঁকে সিবিআই জেরার হাত থেকে অব্যাহতি দিয়েছে – তিনি ফিরেও এসেছেন কলকাতায়। এই জেরা-পর্ব নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে চূড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে, তাই বিশেষ কিছু জানা যাচ্ছে না। কিন্তু, গতকাল সকাল পর্যন্ত খবর ছিল – রাজীব কুমারকে অন্তত আরও ৩-৪ দিন জেরা করতে পারে সিবিআই। কিন্তু দুপুরের পর বদলে যায় সমগ্র ছবিটাই – হঠাৎ করে জানা যায় রাজীব কুমারকে ছেড়ে দিচ্ছে সিবিআই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে, জল্পনা ছেড়েছে – রাজীব কুমারের কলকাতায় ফিরে আসার পিছনে নাকি ‘বিশেষ’ কারণ আছে। কিন্তু, সে প্রসঙ্গে না সিবিআই, না রাজীব কুমার নিজে মুখ খুলেছেন। এদিকে, রাজীব কুমারকে মূলত সারদা চিটফান্ড কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ডাকা হলেও, পরবর্তীকালে রোজভ্যালি বা টাওয়ার গ্রূপের মত চিটফান্ড নিয়েও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। সেখানে নাকি রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি সিটের প্রধান থাকলেও – এক অত্যন্ত দক্ষ গোয়েন্দা চিটফান্ড তদন্ত চালাচ্ছিলেন। তাই তিনি মাঝে মাঝে পরামর্শ দেওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করেননি। অন্যদিকে, এই জেরা-পর্বে হাজির থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সরদার মিডিয়া গ্রূপের প্রধান কুনাল ঘোষ জানান, এই জেরা-পর্বে অনেক প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে এবং তাঁরা বাইরে থাকলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।

আর এসবেরই পরিপ্রেক্ষিতে, রাজীব কুমার বর্ণিত সেই ‘দক্ষ’ পুলিশ অফিসারকে নিয়ে নাকি সিবিআইয়ের বিশেষ পদক্ষেপ হতে চলেছে। তবে এখানেই শেষ নয় – সিবিআইয়ের নজরে আপাতত রয়েছেন তিন-তিনজন রাজ্য-রাজনীতির হেভিওয়েট নেতা। আর ওই তিনজনই নাকি বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের। এঁদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই সিবিআই ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে আগেই এবং আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারেন ওই রাজনৈতিক দলের হয়ে। এছাড়া, আরেক নেতা রাজ্য-রাজনীতিতে তাঁর দলের মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন প্রায় – যে কোন সাংবাদিক বৈঠকেই তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। আর আছেন এক ডাকাবুকো নেতা – যিনি মাঝেমাঝেই রাজনৈতিক আক্রমন করতে গিয়ে ‘মারধরের’ নিদান দিয়ে থাকেন। আর তাই সবমিলিয়ে, সিবিআই দপ্তরের আশেপাশে কান পাতলেই এখন কলার টিউনের মত বাজছে – চিটফান্ডের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কখন ধরা পরে কে জানে!!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!