এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে আক্রমণের মাঝেই হঠাৎ নীরব অনুব্রত! বক্তব্যে বিরতি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা

প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে আক্রমণের মাঝেই হঠাৎ নীরব অনুব্রত! বক্তব্যে বিরতি নিয়ে বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। প্রতিবার নির্বাচনের আগে নানা টোটকা দিয়ে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। কখনও গুড় বাতাসা, আবার কখনও বা চরাম চরাম ঢাকের কথা শোনা যায় তার গলায়। আর এই পরিস্থিতিতে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রতিটি সভা থেকেই বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে সেই অনুব্রত মণ্ডলকে। আর এবার বক্তব্য রাখতে উঠে বিজেপিকে আক্রমণের মাঝেই হঠাৎ করে নীরবতা পালন করতে দেখা গেল বীরভূম জেলা সভাপতিকে।

জানা গেছে, এদিন বীরভূমের খয়রাশোলের জনসভায় উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তিনি যখন বক্তব্য রাখছিলেন, তখন হঠাৎ করেই মাইকে আজানের শব্দ শুনতে পান তিনি। আর তারপরই নিজের বক্তব্য থামিয়ে দেন অনুব্রত মণ্ডল। পরক্ষণেই আজান শেষ হলে আবার বক্তব্য শুরু করেন তিনি। আর তখনই ধর্মের কথা তুলে ধরে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বাণী হওয়ার সময় অনুব্রত মণ্ডলের এভাবে নীরব হয়ে যাওয়াকে রীতিমত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, অনুব্রত মণ্ডল এই রকম আচরন করে এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করলেন। একদিকে যেমন তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনের ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার বার্তা দিলেন, ঠিক তেমনই তার দল যে সমস্ত সম্প্রদায়কে নিয়ে পথ চলতে চায়, সেকথাও বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিন আজান শেষ হওয়ার পর তার রেশ টেনে ধরে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন অনুব্রত মণ্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি বলেন, “মুসলিম ধর্মে যেরকম আজানের রীতি রয়েছে, তেমনই হিন্দু মায়েরা বাড়িতে সন্ধ্যা দেন। ওরা এসব মানে না। ওরাই সব মানতে জানে না।” এদিন কেন্দ্রের পরিচালিত বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, “উজলা যোজনার গ্যাস এখন কেউ পান? কোনো মা বলতে পারবেন! এক সময় বাংলার মায়েদের জন্য মোদির হৃদয় ফেটে যাচ্ছিল। এখন আর ফাটে না। নরেন্দ্র মোদির বুকটা ফাটে, শুধু ভোট এলে। চোখে জল আসে, ভোট এলে। ভোট না হলে চোখে জল আসে না। মিথ্যাবাদীর ঝুলি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই শাসক-বিরোধী তরজা বাড়তে শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনে মেরুকরণের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন পেতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মিম সহ একাধিক সংখ্যালঘু দলের প্রভাব রাজ্যে বাড়তে শুরু করেছে। তাই তারা যদি বিভিন্ন আসনে প্রার্থী দেয়, তাহলে ভোট কাটাকুটিতে শেষ পর্যন্ত জয়লাভ করে যেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাই সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই এদিন বক্তব্য রাখার সময় আজান হলে নিজের বক্তব্য থামিয়ে সকল ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার বার্তা দিতে শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। একাংশ বলছেন, আসলে ভোট বড় বালাই। ভোটের আগে সেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মন পেতে এই ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখা গেল বীরভূম জেলা সভাপতিকে। সব মিলিয়ে একদিকে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ, আর অন্যদিকে সকল ধর্মের মানুষকে নিয়ে পথ চলার কথা বলে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ভোটবাক্সে এর কি প্রভাব পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!