এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গো-বলয়ের জয় দিয়েছে নতুন অক্সিজেন, বঙ্গ রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ হাত শিবিরের

গো-বলয়ের জয় দিয়েছে নতুন অক্সিজেন, বঙ্গ রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ হাত শিবিরের


২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর কাছে পরাভূত হওয়ার পর গোটা দেশের রাজনীতিতেই যেন হঠাৎ করে কংগ্রেস ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হয়েছিল। এই রাজ্যও তার ব্যতিক্রম ছিল না – ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে বাংলায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা জুটলেও – একের পর এক দলীয় নেতা-বিধায়ক হারিয়ে ক্রমশ ‘সাইনবোর্ড’ হওয়ার দিকে এগোচ্ছিল কংগ্রেস বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে, বিশেষ করে গো-বলয়ে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিকে হারিয়ে জয় পেতেই যেন শরীরী ভাষায় বদলে গেছে কংগ্রেসের। গোটা দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলাতেও এবার সাংগঠনিক বিস্তার ও ঘুরে দাঁড়াতে নতুন করে পরিকল্পনার পথে হাত শিবির। আর তাই, রাজ্য কংগ্রেসের তরফে এবার বড়সড় চমক দিতে চলেছেন সোমেন মিত্ররা। সূত্রের খবর, স্বয়ং কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীকে এনে ব্রিগেড সমাবেশ করবেন বলে ঠিক করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে যা জানা যাচ্ছে, তাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই হবে কংগ্রেসের এই ব্রিগেড জনসভা। দিনক্ষণ এখনও সেভাবে ঠিক না হলেও এখন থেকেই যাতে ব্রিগেডের সমাবেশকে চূড়ান্তভাবে সফল করা যায়, তার প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। গতকাল, কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র – সেই বৈঠকেই স্থির হয় কর্মসূচী, বলে জানা গেছে৷

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু সংগঠন নিয়ে ব্রিগেডে লোকসমাগম করতে পারবেন?‌ এই প্রশ্নের উত্তরে প্রত্যয়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু বলেন, ‘‌বাংলায় কংগ্রেস জাগছে – ব্রিগেডে বিশাল জমায়েত হবে। দেশের মানুষ মোদী সরকারকে হারাতে চায়। ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের জন্য মানুষ কংগ্রেসকেই বেছে নেবে’। অন্যদিকে, দল পরিচালনার ক্ষেত্রে যে প্রদেশ সভাপতিই শেষ কথা, তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত – তা আরও একবার রাহুল গান্ধী-সোমেন মিত্রের বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গেছে। ফলে, দ্রুত প্রদেশ কমিটি গঠনের পাশাপাশি দলের অনেকেই ক্ষমতা হারাতে চলেছেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

এদিকে, আগামী ১৯ শে জানুয়ারি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বিরোধী জোটের সমাবেশ রয়েছে ব্রিগেডে। সেই সভায় আমন্ত্রিত কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ওই সভায় রাহুল গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধীর অংশগ্রহণ ঠেকাতে তৎপর। এমনকি সংগঠনের কোনও প্রথম সারির নেতাও যাতে সেই সভায় যোগ না দেন, সেই আবেদনও এদিন সভাপতির কাছে করেন সোমেন মিত্র। তবে, এবিষয়ে রাহুল গান্ধীর তরফে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি প্রদেশ নেতৃত্বকে – বলেই জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!