এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা ভাইরাস ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান! কাবু করা কঠিন ও চ্যালেঞ্জের! নতুন গবেষণায় বাড়ল দুশ্চিন্তা

করোনা ভাইরাস ভয়ঙ্কর বুদ্ধিমান! কাবু করা কঠিন ও চ্যালেঞ্জের! নতুন গবেষণায় বাড়ল দুশ্চিন্তা

নানা চেষ্টা চরিত্র করেও করোনা ভাইরাসকে আটকানো যাচ্ছে না। প্রতিষেধক না থাকলেও, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ নানা দেশ লকডাউনের পন্থা নিলেও, যত দিন যাচ্ছে, ততই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। কতদিন পর্যন্ত এই ভাইরাস তার স্থায়িত্ব লাভ করবে, তা জানেন না কেউ। তবে সর্বস্তরে এই ভাইরাসকে প্রতিহত করবার জন্য প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

জনসাধারণ আশা করছেন, বিশেষজ্ঞদের মুখ থেকে করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করবার কোনো আশাব্যঞ্জক কথা শোনা যাবে। কিন্তু এবারেও সেরকম কোনো কথা শোনা গেল না। উল্টে যা শোনা গেল, তা নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াবে সকলের। সূত্রের খবর, এবার করোনা ভাইরাসকে ভয়ঙ্কর এবং বুদ্ধিমান বলে উল্লেখ করলেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট পিটার কোলচিনক্সি। সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “করোনা ভাইরাস অনেকটাই আলাদা। শত্রু যদি কৌশলী হয়, তাহলে তাকে ঘায়েল করাটা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়ায়।”

তাঁর মতে, “এই ভাইরাস মানুষের শরীরে ঢোকার ট্রিক শিখে গেছে। এই ভাইরাস শুধু ফুসফুসেই আক্রান্ত করে না‌। মানুষের শরীরের অন্যান্য অঙ্গকেও সংক্রমিত করে। যেটা অন্য সংক্রামক ভাইরাসের মধ্যে খুব একটা দেখা যায় না।” অন্যদিকে মানুষের শরীরে ঢোকার ব্যাপারে সমস্ত রকম কৌশল রপ্ত করে নিয়েছে সার্স-কভ-2 বলেও এদিন আশঙ্কা করেছেন এই ব্যক্তি। জানা গেছে, পিটার বায়োটেকনোলজি, ইনভেনটর, ঠিক তেমনই লেখকও বটে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই তিনি এবার করোনা ভাইরাসকে ভয়ংকর বলে আখ্যা দেওয়ায় জনমানসে যে তীব্র আশঙ্কা তৈরি হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। কিন্তু কি এমন কৌশল প্রয়োগ করল করোনা ভাইরাস, যাতে তা সে দ্রুত মানুষের শরীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে পিটার বলেন, “সার্স কভ-2 হচ্ছে সাইলেন্ট কিলার। যত দিন যাচ্ছে, হিউম্যান ট্রান্সমিশনের এই নতুন ট্রিক শিখে ফেলেছে এই ভাইরাস। এর প্রকাশ খুবই কম। কোন মানুষের শরীরে ঝপ করে ঢুকে পড়ছে, তা টের পাওয়া যাচ্ছে না।”

তিনি জানিয়েছেন, “নাক-মুখ দিয়ে ড্রপলেটের মাধ্যমে ঢুকে গলায় কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকে। এইসময় ভাইরাস বাড়াবাড়ি করছে না। তাই দেখা যাচ্ছে, ভাইরাস শরীরে ঢুকলে উপসর্গ ফুটে বেরোচ্ছে সাত থেকে 14 দিন পরে। পরবর্তীতে ফুসফুস থেকে ছড়িয়ে পড়ে একে একে হার্ট, কিডনি, লিভারকে কব্জা করছে এই ভাইরাস।” কোন দিকে 80% করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রথমে লক্ষণ বোঝা যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।

তবে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স, লকডাউন এবং মাস্ক পড়া যে অত্যন্ত বাধ্যতামূলক, তাও জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন ভাইরোলজিস্ট পিটার কোলচিনক্সি। অর্থাৎ মার্কিন বিশেষজ্ঞ নিজের কথার মধ্যে দিয়ে বোঝাতে চাইলেন যে, এই করোনা ভাইরাস অত্যন্ত বুদ্ধিমান। যে গোপন শত্রুর মতো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে। এখন এই শত্রুকে ঘায়েল করতে মানুষের মধ্যেকার সচেতনতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই যে আশু কর্তব্য, তা জানিয়ে দিলেন পিটার কোলচিনক্সি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!