এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন “টাস্ক” জানিয়ে টিম পিকের ফোন সব তৃণমূল বিধায়কের কাছে! ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে

নতুন “টাস্ক” জানিয়ে টিম পিকের ফোন সব তৃণমূল বিধায়কের কাছে! ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূল শিবিরে


 

দলের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ছিল না। আর এই কারনেই লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কে 22 টি আসন পেতে হয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমনকি ভোটের পরবর্তী ফলাফল পর্যালোচনায় তৃণমূলের অন্দরেও সেই কথা উঠে এসেছে। তবে দলকে যে জনসংযোগে পাঠাতে হবে এবং আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে আরও ভালো ফলাফল করতে হবে, তা অনুধাবন করে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভোটগুরু বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোরকে নিজের দলের রণনীতিকার হিসেবে নিয়োগ করে “দিদিকে বলো” কর্মসূচি চালু করে তৃণমূল কংগ্রেস। যে কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যই ছিল, সাধারণ মানুষের অভাব- অভিযোগ সোনা। বিভিন্ন বিধানসভা থেকে পৌরসভা, ব্লক থেকে মহকুমা স্তর, প্রতিটি জায়গায় রাজ্যস্তর থেকে নেতাদের নাম ঠিক করে দিয়ে তাদের সাধারণ মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘোরাতে বাধ্য করেছিল প্রশান্ত কিশোরের টিম।

যার ফলে অনেক জায়গাতেই তৃণমূলের লাভ হয়েছে বলে দাবি করছে একাংশ। আর এই “দিদিকে বলো” কর্মসূচি পালনের সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা থেকে বিধায়কদের কাছে মাঝেমধ্যেই তাদের কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চেয়ে ফোন করা হত বলে জানা গেছে। যার ফলে আঁতকে উঠতেন তৃণমূলের বিধায়করা।

আর এবার বিধায়কদের চিন্তাকে কিছুটা বাড়িয়ে দিয়ে ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের টিমের পক্ষ থেকে এক অভিনব নির্দেশ আসায় তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কী সেই নির্দেশ? জানা গেছে, ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের “আইপ্যাক” দপ্তর থেকে তৃণমূলের বিধায়কদের কাছে ফোন করে বলা হচ্ছে, “আপনার বিধানসভা কেন্দ্রের ভিডিও ক্লিপিংস পাঠান।” যেখানে ভিডিওর মোট সময়সীমা হবে এক মিনিট বলে জানানো হয়েছে। আর পিকের টিমের কাছ থেকে এই নির্দেশ পেয়ে অনেক বিধায়কেরই এখন কালঘাম ছুটতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেরই দাবি, রাজ্যের প্রতিটা বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রচুর দর্শনীয় স্থান আছে। ফলে সেগুলিকে এক মিনিটের মধ্যে একটি ভিডিওতে বন্দি করা অত্যন্ত কঠিন ব্যপার। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের এক তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “দিদিকে বলো কর্মসূচির প্রতিস্তরে পিকের দপ্তরে নিয়মিত ছবি ও রিপোর্ট পাঠাতে হয়েছে। এবার এলাকার ভিডিও তুলে পাঠানোর কথা জানিয়েছে। আমার বিধানসভায় একটা সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। বেশ কিছু স্কুল, কলেজ রয়েছে। এসব এক মিনিটের ভিডিওতে করে তোলা সম্ভব!”

একই কথা বলেছেন তৃণমূলের আর এক বর্ষীয়ান বিধায়কও। তবে তৃণমূল বিধায়কদের একাংশ এই নিয়ে চিন্তাভাবনার স্তরে পৌঁছে গেলেও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাদের মতে, জনসংযোগের পর এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ভৌগোলিক চিত্র সম্পর্কে অবহিত হতে চাইছে প্রশান্ত কিশোরের টিম।

আর তাইতো দলীয় বিধায়কদের পরিশ্রম করিয়ে সেখানকার দর্শনীয় স্থান ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরে একদিকে যেমন দলীয় বিধায়কদের কাজকর্ম দেখতে চাইছেন, ঠিক তেমনই বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি তাও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি একাংশের। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে তৃনমূল বিধায়কদের এক মিনিটের ভিডিও ক্লিপিংস তুলে দিতে বলায় তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাই বিধায়করা এখন সেই কাজ করতে কতটা সক্ষম হন, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!