এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > করোনা আবহেই প্রবল হিংসা হরিশচন্দ্রপুরে! জারি হচ্ছে 144 ধারা! মমতাকে কড়া নির্দেশ ধনকরের

করোনা আবহেই প্রবল হিংসা হরিশচন্দ্রপুরে! জারি হচ্ছে 144 ধারা! মমতাকে কড়া নির্দেশ ধনকরের

বাংলার পরিস্থিতি যেন ক্রমেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া আকার নিচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। একদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি, আর অন্যদিকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে শুক্রবার থেকে এখনও পর্যন্ত করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে 10 হয়ে যাওয়া। যার ফলে ক্রমশ পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যাচ্ছে সেই হরিশ্চন্দ্রপুরের এক নম্বর ব্লকে। অনেকে বলছেন, এই অবস্থায় 144 ধারা জারি না করলে রক্ষা নেই।

তবে শুধুমাত্র 144 ধারা জারি করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আসবে কিনা, তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু কেন এমন বেগতিক অবস্থা হচ্ছে হরিশ্চন্দ্রপুরের? বস্তুত, সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুরের চন্ডিপুরের বাসিন্দারা করোনা সংক্রমণের ভয়ে এলাকাকে বাঁশের বেড়া দিয়ে সিল করে দিয়েছে। আর এরপরেই মানিকবাড়ির বেশ কিছু এলাকা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তারা চন্ডিপুরের বাসিন্দাদের এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা যায়, মানকিবাড়ির বাসিন্দারা চন্ডিপুরের বাজারের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু চন্ডিপুরের মানুষ তা বন্ধ করে দেওয়ায় এখন চরম সমস্যায় পড়েছেন মানকিবাড়ির বাসিন্দারা। আর এরপর থেকেই দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে গন্ডগোল তৈরি হতে শুরু করে। পরিস্থিতি ক্রমশ বেগতিক আকার নেয়। এক গ্রামের মানুষ অপর গ্রামের মানুষের উপর মাঝেমধ্যেই চড়াও হয়। যা রীতিমতো হাতের বাইরে বেরিয়ে গেছে প্রশাসনের।

আর এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহতার মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুরের দুই গ্রামের বিবাদ যখন চরম আকার ধারণ করেছে, ঠিক তখনই ময়দানে নামেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকার। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে একটি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। শুধু তাই নয়, প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই দুই গ্রামের গন্ডগোল মেটাতে ময়দানে নামার উদ্যোগ নিচ্ছে।

জানা গেছে, সিপিএম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গ্রাম পরিদর্শনে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে এখন গোটা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে 144 ধারা জারি করার পর দুই গ্রামের গন্ডগোল আদৌ কমে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। কেননা করোনা ভয়াবহতার মধ্যে যদি এভাবে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে চাপে ফেলবে সকলকে। তাই এখন পরিস্থিতিকে শান্ত করার দিকেই নজর দিতে চাইছেন প্রত্যেকে।

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1259544563422617600

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!