এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে একাধিক গুরুত্ত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় – জানুন বিস্তারিত

বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডে একাধিক গুরুত্ত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড় – জানুন বিস্তারিত


গতকাল ভর সন্ধ্যেতে যেভাবে রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তাতে কেঁপে গিয়েছে গোটা রাজ্য-রাজনীতিই। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাঁসথালি থানার ওসি অনিন্দ্য বোস ও প্রয়াত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের দেহরক্ষী প্রভাস মণ্ডলকে অপসারণ করা হয়েছিল। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু হল বিচার বিভাগীয় তদন্তও। সূত্রের খবর, সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে একদিনের ছুটি নিয়েছিলেন প্রভাসবাবু – কিন্তু আশ্চর্যরকম ভাবে এর জন্য কোনো সরকারি দরখাস্ত করেননি তিনি। শুধুমাত্র মৌখিকভাবে জানিয়েই, বিধায়কের জন্য বিকল্প কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করেই তিনি ছুটিতে যান।

অন্যদিকে, সত্যজিৎবাবু অত্যন্ত জনপ্রিয় বিধায়ক ছিলেন। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নদীয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত ও রাজ্যের মন্ত্রী রত্না কর ঘোষ। কিন্তু, এত হাই প্রোফাইল ব্যক্তিত্বরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও যথাযথ নিরাপত্তার অভাব ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া, এই অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত, সেখানে বিধায়ককে খুন করে, সেটাও পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে, ভিড়ের মধ্যে মিশে গেল দুষ্কৃতীরা – এই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডির একটি টীম।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তদন্তকারীদের সব থেকে অবাক করেছে ঘটনার দিন দফায় দফায় হওয়া লোডশেডিং। অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গিয়ে চারিদিক অন্ধকার হয়ে যাচ্ছিল – দুষ্কৃতীদের সঙ্গে প্রশাসনের ভেতরের কারোর যোগযোগ ছিল – যে বা যারা এই কাজটি করে দুষ্কৃতীদের সাহায্য করছিল? উঠে আসছে সেই প্রশ্নও। এই ঘটনায় নাম উঠে আসছে অভিজিৎ পুন্ডারি নামে এক স্থানীয়ের। বিধায়কের হত্যার পরেই, উত্তেজিত জনতা রাত্রেই তাঁর বাড়ি ভাংচুর করে। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল নামে দুজনকে ইতিমধ্যেই ঘটনার জেরে গ্রেপ্তার করে ম্যারাথন জেরা করা হচ্ছে – অসমর্থিত সূত্রের খবর, সেই জেরায় উঠে এসেছে অনেক কিছুই।

এদিকে, এই ঘটনায় প্রথম থেকেই তৃণমূল নেতাদের দাবি – বিজেপির চক্রান্ত। এমনকি এর জেরে বিজেপি নেতা মুকুল রায় সহ ৪ জনের নাম ইতিমধ্যেই এফআইআর করা হয়েছে। যদিও বিজেপির তরফে এই ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলের অদূরেই একটি ‘ওয়ান শর্টার’ বন্দুক পাওয়া গিয়েছে, মনে করা হচ্ছে এই বন্দুক দিয়েই বিধাককে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি, খুনের সূত্র জুড়তে তদন্তকারীদের বড় ভরসা হতে চলেছে অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের তোলা ছবি ও ভিডিও। সূত্রের খবর, পুলিশ ও সিআইডি যৌথভাবে তদন্ত চালাবে। তবে, তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে অত লোকের মাঝখানে কি করে একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বিধায়ককে গুলি করা হল?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!