এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ইসলামপুর কাণ্ডে নয়া মোড় – এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ইসলামপুর কাণ্ডে নয়া মোড় – এবার শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে


ফের রাজ্য-রাজনীতিতে চাঞ্চল্য ছড়ালো ইসলামপুর কান্ড। রাজ্যপুলিশের উদ্বেগকে বাড়িয়ে প্রকাশ্যে এল নতুন অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল দাড়িভিট স্কুলেরই এক ছাত্রী। শুধু তাই নয়, একই অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে দাড়িভিট স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ মোট ছজন শিক্ষককে। অভিযোগটি করেছেন আন্দোলন করার সময় পুলিশের গুলিতে মৃত রাকেশের জ্যাঠামশায়ের মেয়ে, দ্বাদশ শ্রেনীতে পাঠরতা মৌ সরকার।

অভিযোগে জানানো হয়েছে,ঘটনার দিন পুলিশ ও শিক্ষকরা স্কুলের ছাত্রীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তিন ঘন্টা অযথা তাঁদের বসিয়ে রেখেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই নতুনভাবে তদন্ত শুরু হবে দাড়িভিট কান্ডে। তদন্তের সূত্র ধরে নতুন জট খোলার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল। এ প্রসঙ্গে, ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মন্ডল আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বেই নতুনভাবে তদন্ত শুরু করা হবে। এদিকে শ্লীলতাহানির সঙ্গে শিক্ষকদের নাম জড়ানোর পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়েছে দাড়িভিট স্কুলে।

এদিকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলগুলোতে পুজোর ছুটি পড়ে গেলেও বাড়ি যেতে পারেননি দাড়িভিট স্কুলের শিক্ষকরা। ঘটনার দিন থেকেই অর্থাৎ ২১ শে সেপ্টেম্বর থেকেই অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে স্কুলটি। গত সপ্তাহে পাঁচ জন শিক্ষক দাড়িভিট গেলেও স্কুলের গেট পর্যন্ত যেতে পারেননি – গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে এতটাই আতঙ্কগ্রস্থ তাঁরা। ওদিকে স্থানীয়রা এই দাবীতে সরব রয়েছেন যে, স্কুল গেট খুলতে হলে প্রধান শিক্ষককে সামনে আনতে হবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

প্রসঙ্গত, এদিন সকালেও স্কুল যাওয়ার জন্য কয়েকজন শিক্ষক ইসলামপুর টাউন লাইব্রেরির সামনে একত্রিত হয়েছিলেন কিন্তু প্রধান শিক্ষক না আসায় তাঁরা স্কুলের গেট খুলতে সাহস পাননি। এরপর তাঁরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালের দ্বারস্থও হন। তাঁদের আশা ছিল, স্কুল খোলার ব্যাপারে বিধায়ক সদর্থক ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু, বিধায়ক তাঁদের আশায় কার্যত জল ঢেলে উল্টে প্রধান শিক্ষককেই ভর্ৎসনা করেন। বিধায়ক নিজের বক্তব্যে জানান, ‘ঘটনার পরে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা করেছে। সেখানে অভিযুক্ত হিসাবে স্কুল পরিচালন কমিটির এক কর্তার নামও রয়েছে’।

অন্যদিকে, ইসলামপুর ঘটনার পর থেকেই বিচার চেয়ে সিবিআই তদন্তের দাবীতে সরব রয়েছে গুলিতে মৃত ছাত্রদের পরিবার। অভিযোগ করা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেও। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু করেছেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। তবে বসে নেই রাজ্য সরকারও। সরকারের নির্দেশ মেনেই রাজ্যের গোয়ান্দা বিভাগও তদন্তে সক্রিয় রয়েছে এই মুহূর্তে। এতদিন হত্যাকান্ডের জেরে যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চলছে – তা সরিয়ে রেখে তদন্তকারী অফিসাররা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পেছনে আসলে কারা মদত দিয়েছে তাদের খোঁজার চেষ্টায় ছিলেন।

কিন্তু এদিন এই কান্ডের সূত্র ধরে নতুন অভিযোগ সামনে এল, যার জেরে নয়া মোড়ে ঘুরে দাঁড়ালো ইসলামপুর ঘটনা বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের। উক্ত স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হল। এই অভিযোগের সত্যতা কতখানি তা জানতেই ফের নতুনভাবে তদন্তে নামবেন অফিসাররা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সমস্ত জট কাটবে এবং প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ্যে আসবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!