শাসকদলের অস্বস্তি বহুগুন বাড়িয়ে নারদ তদন্তে নতুন মোড় – জানুন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য July 14, 2019 গেরুয়া শিবিরের নেতারা বারেবারেই দাবি করে থাকেন যে সারদা ও নারদ কাণ্ডে নাকি এবার তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের জেলে যেতে হবে। কিন্তু, বাস্তবে দেখা যায়, এইসব মামলার তদন্তে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উঠছে দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ। ফলে, কংগ্রেস বা বামপন্থীরা বলতে শুরু করেছেন, যে নির্বাচন এলেই সারদা-নারদের জুজু আর নির্বাচন মিটে গেলেই তা হিমঘরে পাঠানো – এটাই নাকি বিজেপির ‘খেলা’! যদিও বিজেপি জানিয়েছে এই ব্যাপারে তাদের কোনো হাতই নেই। এই পরিস্থিতিতে লোকসভার নির্বাচন মিটে যেতেই নতুন করে গতি পেল নারদের তদন্ত। ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার আধিকারিকদের নারদ তদন্তে জেরা পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এবার রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং পরিবহন দপ্তরকেও এই ব্যপারে নোটিশ দিল কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষ থেকে নারদ নিউজের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। যেখানে তৃণমূলের অনেক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীদের প্রকাশ্যে টাকা নিতে দেখা যায়। যার মধ্যে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র এবং বর্তমান পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও দেখা গিয়েছিল। যদিও বা এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু বাংলা। এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ভিডিও প্রকাশ করার পরেই তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল আসার দিন এই দুই মন্ত্রীর অফিসে কোন কোন রক্ষী এবং আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন, তার বয়ান রেকর্ড করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর একইভাবে কলকাতা পৌরসভার ক্ষেত্রেও, প্রাক্তন মেয়রের ওএসজি অম্লান লাহিড়ী সহ ২ আধিকারিককে গত শুক্রবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জেরা করা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে এবার শাসকদলের অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত এবং পরিবহন দপ্তরকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হল। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই এই নারদ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, পঞ্চায়েত এবং পরিবহণ দপ্তরের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে সামনের সপ্তাহেই জেরা করবে সিবিআই। সব মিলিয়ে এবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নারদ কাণ্ডের জেরাপর্বে রীতিমত গতি আনা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। খুব ‘সেনসিটিভ’ মামলা হওয়ায় এবং একাধিক হেভিওয়েট নাম নেতার নাম জড়িয়ে থাকায় এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, এতদিন নারদ কাণ্ডের জেরা পর্ব ‘টেকনিক্যাল’ কিছু কারণে আটকে ছিল – সেই সব সমস্যা মিটে যেতেই, এবার তদন্তে গতি পেতে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুন। আপনার মতামত জানান -