এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাপ বাড়ছে নারদ কাণ্ডে? সিবিআইয়ের সমন পেতে চলেছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট?

চাপ বাড়ছে নারদ কাণ্ডে? সিবিআইয়ের সমন পেতে চলেছেন মুকুল ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট?


জল্পনাটা কিছুদিন ধরেই চলছিল – আর এবার সেই জল্পনাকে সত্যি করে সারদা কেলেঙ্কারির পাশাপাশি এবার নারদ স্টিং অপারেশন নিয়েও চাপ বাড়াতে চলেছে সিবিআই। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তর থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রথম প্রকাশ্যে আনা হয়। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিচ্ছেন শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ ও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিতরা।

স্বাভাবিকভাবেই, এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই পরে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে। তৃণমূলের তরফে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়, যে এগুলি নাকি জাল ভিডিও! পরবর্তীকালে অবশ্য সিবিআই জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়ে দেন, দলের ও নির্বাচনের কাজে চাঁদা হিসাবে সেই টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তাতেও যে পরিস্থিতি সুবিধার হবে না বুঝে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী জানান, আগে জানলে (অভিযুক্তদের) টিকিট দিতাম না! যদিও নির্বাচনে জেতার পর তিনি তাঁর এই মতাদর্শ শিকেয় তুলে ফেলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অভিযুক্তদের প্রত্যেক বিধায়ককেই রাজ্যে ভালো মন্ত্রীত্ব দেন। আর তাই নিয়েই শুরু সিবিআইয়ের নারদ তদন্ত। ইতিমধ্যেই একাধিক প্রভাবশালীকে এই তদন্তে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু, মাঝে তদন্ত বেশ কিছুদিন থমকে ছিল – কারণ ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের ফোনে একটি ফোল্ডার গোয়েন্দারা খুলতে পারছিলেন না, যার পাসওয়ার্ড ম্যাথু নিজেও ভুলে গেছেন বলে দাবি করেছেন। ফলে, তাঁর মোবাইল সংস্থা অ্যাপলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তা খোলার চেষ্টা করে সিবিআই। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর, এবার কিছু ‘এথিকাল হ্যাকারের’ সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই।

আর তারমাঝেই বড় খবর, এবার সিবিআই পুনরায় ডেকে পাঠাতে চলেছেন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আইপিএস এসএমএইচ মির্জাকে। স্টিং ভিডিওতে সরাসরি পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে বর্ধমানের প্রাক্তন এই পুলিশ সুপারকে। কি কারণে তিনি ওই টাকা নিয়েছিলেন? ম্যাথুর সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ হল? শাসকদলের এক প্রথম সারির নেতার সঙ্গে তাঁর কি যোগ রয়েছে? এইসব প্রশ্ন নিয়েই সিবিআই আগামীকাল তাঁকে তলব করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। আরও জানা যাচ্ছে, এইসব প্রশ্ন তাঁকে আগেও করা হয়েছে, কিন্তু তারপর ম্যাথুকে জেরা করে না বোঝা গেছে মির্জার দেওয়া উত্তরের গরমিল আছে। আর তাই এই পুনরায় জেরা পর্ব শুরু হতে চলেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!