এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রোজভ্যালি কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তের মাঝেই বিপুল টাকা বিদেশে পাচার! কিভাবে? কার সাহায্যে?

রোজভ্যালি কাণ্ডে নয়া মোড়! তদন্তের মাঝেই বিপুল টাকা বিদেশে পাচার! কিভাবে? কার সাহায্যে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সারদা, রোজভ্যালি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় আবার ঘুরতে দেখা গেল নতুন মোড়। গতকাল শুক্রবার সারদা, রোজভ্যালি মামলায় নিযুক্ত থাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দুজন প্রাক্তন অফিসার মনোজ কুমার ও রঞ্জন সেনের জিজ্ঞাসাবাদ চললো কলকাতার সিবিআই দপ্তরে। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গতকাল মনোজ কুমার ও রঞ্জন সেনকে ডেকে আনা হয়েছিল সল্টলেকে অবস্থিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর অফিসে।

সারদা ও রোজভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারির বিভিন্ন বিষয়ে এদিন তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। প্রায় তিন ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে সিবিআইয়ের কাছে জেরার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি মনোজ কুমার ও রঞ্জন সেন।

প্রসঙ্গত, সারদা মামলার শুরুর একেবারে প্রথমদিকে ইডির তদনকারী অফিসারের পদে বহাল ছিলেন রঞ্জন বাবু। সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের ফ্লাট বাড়ি সহ বহু সম্পত্তি তিনিই তিনিই বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। সেইসঙ্গে তিনি এসময়ে জেরা করেন সুদীপ্ত সেনের পুত্র শুভজিৎ সেন ও সেইসঙ্গে পুত্রবধূ পিয়ালী সেনের। সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িত বিভিন্ন বিষয়, সেইসঙ্গে সুদীপ্ত সেনের আরোও কোন সম্পত্তির তিনি সন্ধান পেয়েছিলেন কিনা – এই সমস্ত বিষয়েই চলে তিন ঘন্টা ব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অপরপক্ষে রোজভ্যালি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডির তরফ থেকে প্রথম মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেছিলেন মনোজ কুমার। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুন্ডুর অনেক সম্পত্তি তিনি বাজেয়াপ্ত করেন। কিন্তু, তাঁর হাতে তদন্তভার থাকাকালীনই রোজভ্যালির প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে। শুধু তাই নয় রোজভ্যালির স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টর পদের পরিবর্তন ঘটিয়ে পদে বহাল করা হয় এসময় গৌতম কুণ্ডর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডকে। তিনি সেখান থেকে বিপুল পরিমান অর্থ পাচার করে দেন বিদেশে। শুধু তাই নয়, ইডির বাজেয়াপ্ত না করা রোজভ্যালির সম্পত্তির একটা বিরাট অংশেরও রাতারাতি হাতবদল ও নামবদল করা হয়।

মনোজ বাবুর তদন্ড চলাকালিন কিভাবে তাঁকে অজ্ঞাত রেখে এই সমস্ত কাজ গুলি করা সম্ভব হলো, এ বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। বিদেশে রোজভ্যালির টাকা পাচারের বিষয়টি তাঁর অবগত ছিল কিনা, সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তবে এ প্রসঙ্গে মনোজ কুমার জানিয়েছেন যে, রোজভ্যালির স্বর্ণবিপণি সংস্থার ডিরেক্টর পরিবর্তনের বিষয়টি জানতে পারা মাত্রই তিনি এবিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন।

কিন্তু, কর্ণধারের স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডকে নিয়ে তাঁর দিল্লি যাবার বিষয়ে মনোজ বাবুকে সিবিআই প্রশ্ন করলে তিনি অনেকটা বেকায়দায় পরে যান। জানা গেছে, এ বিষয়ে তাঁর দেওয়া উত্তরও সিবিআইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, মনোজ বাবুর দেওয়া সমস্ত তথ্য এখন যাচাই করে দেখা হবে। প্রয়োজন হলে মনোজ বাবুকে আবার সিবিআই দপ্তরে তলব করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!