সারদা মামলায় নয়া মোড় – এবার যাবতীয় সম্পত্তি নিয়ে বড় নির্দেশ কোম্পানি ল ট্রাইবুন্যালের – জানুন বিস্তারিত কলকাতা রাজ্য December 13, 2018 লোকসভা ভোটের আগে ফের একবার রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠল সিবিআই। অন্যদিকে চিটফান্ড সংস্থা সারদা গ্রূপের ১৩ টি কোম্পানির যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এর কলকাতা শাখা। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের নির্দেশ মতোই সারদা কাণ্ডের অন্যতম তদন্তকারী সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও) গত এপ্রিল মাসেই সারদার ওই সংশ্লিষ্ট ১৩ টি কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন এনসিএলটি’র কাছে। সূত্রের খবর, এর ভিত্তিতেই চলতি মাসের গোড়ার দিকে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি মদন বি গোসাভি সবকিছু খতিয়ে দেখেন, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যে বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত অফিসিয়াল লিকুইডেটর দেবযানী মিত্রকে নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি জানিয়েছেন, সারদার ওই সমস্ত কোম্পানিগুলো যে মানুষের অর্থ নিয়ে নয় ছয় করেছে তার যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। এই সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সংক্রান্ত এনসিএলটি’র নির্দেশের কপি নবান্নেও পৌছেছে বলে খবর রয়েছে। প্রসঙ্গত, এনসিএলটি’র এবারের রায়ে সুদীপ্ত সেন গ্রূপের যে ১৩ টি কোম্পানির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল গ্লোবাল অটোমোবাইলস লিমিটেড, সারদা ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস, শপিং মল, সারদা অ্যাগ্রো ডেভেলপার, বেঙ্গল মিডিয়া, সারদা হাউজিং, রোজ ক্যাপিটাল লিমিটেড, সারদা কনস্ট্রাকশন, সারদা এডুকেশনাল এন্টারপ্রাইজ, গার্ডেন রিসর্ট অ্যান্ড হোটেলস, ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট, সারদা এক্সপোর্টস এবং ভাসাঙ্ক ফুড। এসএফআইও সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে সারদা কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার আগে পর্যন্ত স্পঞ্জি স্কিমের মাধ্যমে ১৫ লক্ষেরও বেশি গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রতারণা করেছিল সারদা গ্রূপ। এই জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসে ইডি, সেবি, সিবিআই, আয়কর দপ্তরের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। এরপরই কোমর বেঁধে তদন্তকার্যে নেমে পড়ে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তদন্তের সূত্র ধরে উঠে আসে বেশ কিছু অবাক করার মতো তথ্য। এই সারদা সংস্থা – কোম্পানিজ অ্যাক্ট, ১৯৫৬ কে পাত্তা না দিয়েই বেআইনি কার্যকলাপ এবং গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি এবং প্রতারণা করেছে। এই আইন অমান্য করার জন্যে ৩২৬ ধারায় সারদা গ্রূপের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্যে এনসিএলটি’তে আবেদন জানায় এসএফআইও। এই সারদা সংস্থা ৬.৫৯ কোটি টাকার শেয়ার বেআইনিভাবে লুটে নিয়েছে, এমনই তথ্য জানা গিয়েছে এসএফআইও সূত্রে। উল্লেখ্য, এনসিএলটি’র বিচারপতি গোসাভির এসএফআইও’র তদন্ত রিপোর্টকে পুরোপুরিই মান্যতা দিয়ে দিলেন তাঁর রায়ে। গ্রাহকদের সঙ্গে জালিয়াতি এবং প্রতারাণার লক্ষ্যেই কোটি কোটি টাকা হাস্তান্তর করেছে এই চিটফান্ড সংস্থা এমন তথ্যই স্পষ্ট উঠে এসেছে। তবে, সারদা চিটফান্ড কান্ড নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের সক্রিয়তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল। মাঝে কিছু দিন সিবিআইয়ের ডামাডোলের কারণে এই ইস্যু অবহেলিতই হয়েছে। কিন্তু ফের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির রহস্য ফাঁস করতে নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাছাড়া, এই সব আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ থাকায় নির্বাচনের আগে আমজনতার কাছে তাঁদের প্রকৃত স্বরূপ তুলে ধরতেই তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -