এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আর ৭ দিনেই ভারতে করোনা ছাড়িয়ে যাবে লাখের গন্ডি! চিন্তা বাড়ছে বাংলাকে নিয়েও!

আর ৭ দিনেই ভারতে করোনা ছাড়িয়ে যাবে লাখের গন্ডি! চিন্তা বাড়ছে বাংলাকে নিয়েও!

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই পরিষ্কার উত্তরোত্তর দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশ ইতিমধ্যে লকডাউন এর তৃতীয় ধাপে রয়েছে। কিন্তু লকডাউন চললেও ক্রমাগত পরিস্থিতি খারাপের দিকেই এগোচ্ছে। পরিস্থিতিকে কোনোমতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বিভিন্ন রাজ্যে যাদের মধ্যে প্রথম পাঁচটি স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ।

গত দু’দিনে একলাফে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 13 শতাংশ। বর্তমানে দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা 67 হাজার 152। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আর কিছুদিনের মধ্যেই এই সংক্রমণের পরিমাণ 1 লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। মাত্র 11 দিনের মধ্যে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হারে বেড়ে উঠেছে। এপ্রিল মাসে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মে মাস পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।

সবথেকে খারাপ অবস্থা দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর। সেখানে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার পেরিয়ে গেছে। 47 জন করো না আক্রান্ত ইতিমধ্যেই মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তামিলনাড়ুর চেন্নাই থেকেই অধিকাংশ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। শহরের কোয়েমবেডু সবজি এবং ফল বাজারকে ইতিমধ্যে হটস্পট ঘোষণা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দেড় হাজারের বেশি ব্যক্তি এই বাজার থেকেই সংক্রামিত হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তামিলনাড়ু ছাড়াও পাঞ্জাব এবং পশ্চিমবঙ্গেও গত কয়েক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে 22171। রবিবার সেখানে 1278 জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত 779 জনের। গুজরাটের অবস্থাও তথৈবচ। ইতিমধ্যে সেখানে 7800 জন আক্রান্ত হয়েছেন। গুজরাটের পরেই স্থান তামিলনাড়ুর। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা 7200 ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র বলে জানা গেছে।

তবে কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে, সবথেকে বেশি মাথাব্যথা হতে পারে বাংলাকে নিয়ে। ইতিমধ্যেই বাংলায় বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেছেন – সেখানে লকডাউন ঠিকভাবে মানা হয় নি, রাজ্য সরকারও করোনা নিয়ে সঠিক তথ্য দেয় নি। এদিকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে বাংলার বহু গ্রীনজোনই হঠাৎ করে অরেঞ্জ বা রেডজোনে বদলে যেতে পারে। তার উপরে রোজই বাড়ছে নতুন কন্টেইনমেন্টের সংখ্যা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাতে লকডাউন বাড়াতে আগ্রহী – ফলে, বাংলাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করছেন দফায় দফায়। এর মধ্যে যেভাবে পরিস্থিতি ক্রমাগত হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত সব মহল। অন্যদিকে, দেশজুড়ে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসছে মদের দোকান খুলে দেওয়ার পরেই করোনার এতটা বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যদিকে রেলও জানিয়ে দিল এবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো শুরু করবে। তাই ভারতের করোনা পরিস্থিতি যে ক্রমাগত খারাপের দিকেই এগোচ্ছে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!