এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > গ্রেপ্তার প্রায় সব শীর্ষ নেতা সহ ১৫০ শিক্ষক, কি হতে চলেছে শিক্ষক আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ?

গ্রেপ্তার প্রায় সব শীর্ষ নেতা সহ ১৫০ শিক্ষক, কি হতে চলেছে শিক্ষক আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ?


গতকাল থেকেই শহীদ মিনার চত্ত্বরে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন বা ইউইউপিটিডব্লুএর নেতৃত্ত্বে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকদের পিআরটি স্কেলের দাবিতে দুদিন ব্যাপী ধর্ণা ও আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সেই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শিক্ষামন্ত্রীর শিক্ষকদের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তা যেন আন্দোলনের আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে।

আজ প্রায় কম-বেশি এক লক্ষ শিক্ষকের জমায়েত হয়েছিল এবং সেই জমায়েত থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মিছিল করবেন শিক্ষকরা। সেই মিছিল শুরু হতেই আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এরপরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। সংগঠনের ও আন্দোলনের প্রথম শ্রেণীর সমস্ত নেতা-নেত্রী সহ গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ১৫০ শিক্ষক। ১০-১২ টি পুলিশ ভ্যান ও ৩-৪ টি পুলিশ গাড়ি করে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস, রাজ্য সভাপতি সন্দ্বীপ ঘোষ, মইদুল ইসলাম, বেলা সাহা, চন্দন চট্টোপাধ্যায়, নাফিসা দেবী সহ প্রায় ১৫০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারে নিয়ে গেছে কলকাতা পুলিশ।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

রাজ্য সরকার যে শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এরকম চরম পদক্ষেপ নিতে পারে তা ভাবতে পারেননি শিক্ষক সমাজ। আর তাই প্রায় লক্ষ শিক্ষকের জমায়েতে নেতৃত্ত্ব দেবেন কে আর কিই বা হতে চলেছে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তাই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। আমরা ইউইউপিটিডব্লুএর নেতৃত্ত্বের সঙ্গে, যাঁরা এখনো গ্রেপ্তার হন নি – তাঁদের যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা যাচ্ছে –

১. আন্দোলনের তীব্রতা কোমর কোনও প্রশ্নই নেই
২. আন্দোলন আপাতত শহীদ মিনারের পাদদেশের ধর্নামঞ্চ থেকেই চালিয়ে যাওয়া হবে
৩. যেসব শিক্ষক নেতাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে – তাঁদের অবিলম্বে সসম্মানে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে
৪. প্রয়োজনে জমায়েতের একটি বড় অংশ লালবাজারে গিয়ে ধর্ণা বা ঘেরাও করতে পারে
৫. বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য গ্রেপ্তার হওয়া নেতাদের মুক্তির ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন
৬. প্রয়োজনে শিক্ষকরা অনশন শুরু করবেন
৭. কোনো প্ররোচনায় পা দেওয়া হবে না
৮. যেহেতু বিজেপি-বামফ্রন্ট-কংগ্রেস সহ প্রায় সমস্ত বিরোধী দল ও সুধীজন সমাজ সমর্থন জানিয়েছেন, তাই আন্দোলন তীব্রতর করা হবে

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!