ব্রেকফাস্টেই খেতে চান বাদশাহী খানা? দিল্লির সব থেকে জনপ্রিয় ‘নিহারী’ এখন আপনার হাতের মুঠোয় অন্যান্য রান্নাবান্না July 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেউ খাওয়ার জন্য বাঁচে, কেউ বাঁচার জন্য খায়। সে যাই হোক না কেন, খাওয়ার বাহার আমাদের দেশে ঐতিহ্য স্বরূপ। দুপুরের খাওয়ার বা নৈশভোজ তো বটেই, প্রাতরাশের দেশীয় খাদ্য তালিকাও আমাদের দেশে কম নয়। আমেরিকানদের দৌলতে আমাদের দৌড় ঝাপের জগতে স্যান্ডউইচ, স্ন্যাকস্, কুকিজ, সেদ্ধ ডিম এসব চটজলদি খাদ্য বস্তু ব্রেকফাস্টের তালিকায় ঢুকে গেছে ঠিকই, কিন্তু মুঘল আমলে বাদশাহদের প্রাতরাশের টেবিল দেখলে আপনার চক্ষু চরক গাছে উঠে যাবে। ভাবছেন, কী খেতেন তারা? মুঘলরা এই দেশে বহু খাদ্য দেশীয় খাদ্য তালিকায় সংযোজন করেছেন। এমনই একটি তৎকালীন বহু প্রসিদ্ধ প্রাতরাশের খাবার হল ‘নিহারী’। কী এই নিহারী জানতে চান? তবে সকালের চায়ে চুমুক দিতে দিতে জেনে নিন ‘নিহারী’ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। ★ “নিহারী” নামটি এসেছে আরবীয় শব্দ “নাহার” থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ ‘সকাল’। প্রাতরাশে এই খাদ্য খাওয়া হতো বলে এর নাম ছিল “নিহারী”। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ★ নিহারী হলো কম আঁচে দীর্ঘক্ষণ ধরে সেদ্ধ করা পাঁঠার পায়ের মাংস। খামেরী রুটি দিয়ে এই মাংস এখনো দিল্লির জনপ্রিয় খাবার। ★ নিহারী সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘলদের দ্বারা এই দেশে প্রবেশ করে। ★ সারারাত ধরে নিহারী রান্না হয়। প্রায় ৬-৮ ঘন্টা ধরে অল্প আঁচে এটি রান্না করা হতো। ★ নিহারী রান্নার সময় আগের দিনের অবশিষ্টাংশ সেই নতুন রান্নার সময় মিশিয়ে দেওয়া হতো। এই অবশিষ্টাংশকে “তার” বলা হতো। তবে ভাবুন, একেই বলে রাজখাদ্য। হোক না প্রাতরাশ, তাতে কী! আমাদের ব্যাস্ত জীবনে নিহারীর স্থান কোথায়! এই সেই বাদশাহী খানা – নিহারী। আপনার মতামত জানান -