এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > নিজেদের দলের নেতাদেরই ঘরে আটকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে

নিজেদের দলের নেতাদেরই ঘরে আটকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গেরুয়া শিবিরে এধরনের অশান্তি যথেষ্ট চিন্তিত করে তুলেছে তাঁদের বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্যের অন্যতম শাসকদল তৃণমূলের অত্যন্ত দুর্বলতম জায়গা হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঠিক একইভাবে এবার বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কালো মেঘ। এতদিন পর্যন্ত যে সংগঠনের জোর নিয়ে বিজেপির নেতা নেত্রীরা বড় বড় কথা বলতেন, তা কিন্তু ক্রমশ প্রহসনে পরিণত হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সম্প্রতি মঙ্গলকোটে বিজেপি নেতাদের ঘিরে তুমুল অশান্তি চালালো দলের অন্য অংশ। আর এই নিয়ে তীব্র আলোড়ন চলছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন দুপুর দুটো নাগাদ মঙ্গলকোটের কৈচরে বিজেপির একটি বিধানসভা সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে আসছিলেন বিজেপি নেতা অনিল দত্ত সহ কয়েকজন বিজেপি নেতা। কিন্তু রাস্তায় তাঁদের গাড়ি আটকে রেখে দলেরই বেশ কয়েকজন কর্মী বিক্ষোভ দেখায় বলে জানা গেছে। জেলা সভাপতির নাম করেও তাঁরা চূড়ান্ত গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়।

দলীয় কর্মীদের বিশৃংখলার জেরে এদিন মঙ্গলকোটের সভা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী পুরো ঘটনার লাইভ ভিডিও করে। জানা যায়, বিজেপি নেতার গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা হুমকি দেয় এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য। তারপরেই নেতারা কাটোয়ায় ফিরে আসেন। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের সভায় উপস্থিত বাকি নেতাদের ওপরেও বিক্ষুব্ধ কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, অন্য দুই বিজেপি নেতা শিশির ঘোষ এবং বুদ্ধদেব মন্ডলকেও মারধর করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অনিল দত্ত অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মঙ্গলকোটের সাসপেন্ডেড বিজেপি নেতা সৌমেন মুখোপাধ্যায় এর দিকে। জানা গেছে, দলবিরোধী কাজের জন্য সৌমেন মুখোপাধ্যায় তিন বছরের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। অন্যদিকে সৌমেন মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবিরের মন্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে কর্মীদের একটা বড় অংশ রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছে। সৌমেন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁকে বিনা কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এদিন সৌমেন মুখোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন, তাঁদের উপরেই আসলে চড়াও হয়েছিল গেরুয়া শিবিরের অন্যদল। তাঁরা শুধুমাত্র প্রতিরোধ করেছেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই তাঁরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে একের পর এক বিধানসভা নির্বাচন জেতার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাঁদের সংগঠন যদি এভাবে ভেঙে পড়ে, তাহলে কোনো পদক্ষেপই আর কাজে লাগবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত মঙ্গলকোটের ঘটনা এবার কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকেই লক্ষ্য থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!