এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নিজের সাংবিধানিক অধিকার দিয়েই মমতার সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর?

নিজের সাংবিধানিক অধিকার দিয়েই মমতার সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের সাংবিধানিক পদে বসার পর থেকেই নানা ইস্যুতে তৃণমূল সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে দেখা গেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের। আর তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রশাসনিক বনাম সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে দূরত্ব যেন আরও অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। হিংসার ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জেলা সফর করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল।

আর তার মাঝেই রাজ্যপালের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং শাসকদলের এক বিধায়ককে। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যত প্রশ্ন তুলতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন যে, বিধানসভার সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, তাদের গ্রেপ্তার করার জন্য কেন অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হল না? আর রাজ্যের শাসক দল বা বিধানসভার অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে যখন এই প্রশ্ন করা হচ্ছে, তখন পাল্টা রাজ্যপালের চিঠি দিয়ে তৈরি হল আলোড়ন।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবে কিনা, সেই ব্যাপারে জানতে চেয়ে বিধানসভার সচিবকে একটি চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার। পরবর্তীতে এই গোটা বিষয়টি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। আর তারপরেই বিধানসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিধানসভার ভেতরে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। তবে এই পরিস্থিতিতে স্পিকারের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে গোটা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আবার কার্যত খবরের শিরোনামে চলে আসলেন রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকার‌।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করায় রাজভবন বনাম বিধানসভার মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, রাজ্যপালের এই অতি সক্রিয়তা মোটেই কাম্য নয়। এমনিতেই রাজ্যপালের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার কারণে প্রশ্ন তুলেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তারমধ্যে বিধানসভার ভেতরে অভ্যন্তরীণ পরিবেশ রক্ষার জন্য অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নয়া নজির স্থাপন করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে। এমনিতেই সরকারের সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দ্বন্দ্ব চলছে। তার মধ্যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজ্যপাল। তবে এভাবেই যদি লাগাতার রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব তৈরি হতে শুরু করে, তাহলে ভবিষ্যৎ খুব একটা সুখকর হবে না বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকের প্রশ্ন, বিভিন্ন বিষয় এবং দোষ ত্রুটির কথা তুলে ধরে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিতে পারেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। এক্ষেত্রে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে কেন্দ্র এবং রাস্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট দিতে পারেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের সাংবিধানিক সংকট এবং রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!