এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নিজের দলের পুরসভা সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত! দলীয় মন্ত্রী ধৃতরাষ্ট্র! বিস্ফোরক অনুব্রত মন্ডল

নিজের দলের পুরসভা সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত! দলীয় মন্ত্রী ধৃতরাষ্ট্র! বিস্ফোরক অনুব্রত মন্ডল


রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধী দল থেকে বহুবার বলা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই শাসক শিবির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এবার শাসক দলের অন্দরেই শাসক শিবিরের দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠল। এবার পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। রামপুরহাট পুরসভার দুর্নীতি নিয়ে এদিন তিনি নিজের ক্ষোভ জানান। যদিও তিনি এই অভিযোগ সর্বসমক্ষে করেননি। একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে করেছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর। তবে নিজের দলের বিরুদ্ধে এভাবে মুখ খোলায় রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তৃণমূলের পুরসভার দুর্নীতির প্রতিবাদে মুখ খুললেন। শুধু পুরসভাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বললেন তা নয়, মন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। যদিও প্রকাশ্যে তিনি এসব কথা বলেন নি। বলেছেন একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে।

সামনের বছর বেশ কয়েকটি পুরসভার সঙ্গে রামপুরহাট পুরসভার ভোট হবার কথা। আর তার আগেই দলীয় সভা ডেকে ফাঁকফোকর মেরামতে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার দলের জেলা কমিটির সভা ডাকা হয় বোলপুরে। আর সেখানে পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদেরও ডাকা হয়। সূত্রের খবর, সেই সভাতেই তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘সব থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত পুরসভা রামপুরহাট। আশিসবাবু সব জেনেও ধৃতরাষ্ট্রের মতো অন্ধ হয়ে রয়েছেন। তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।’

প্রসঙ্গত, রামপুরহাট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে জেলার সভাপতির কাছে ইতিমধ‍্যে। অভিযোগ করেছেন, তাঁরই দলের কাউন্সিলররা। এরই মাঝে 4 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্বাস হোসেনের সঙ্গে চেয়ারম্যানের হাতাহাতি হয় আর এই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল কে হস্তক্ষেপ করতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ঘটনার পর অনুব্রত মণ্ডল পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটিতে ছিলেন 9 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী ভাকতের স্বামী, দলের শহর কার্যকরী সভাপতি সৌমেন ভকত। এই ঘটনার সুযোগ নেয় সিপিএম। তাঁরা দুর্নীতির একটি কথোপকথনের অডিও প্রকাশ করে আন্দোলনে নামে। সিপিএমের পক্ষ থেকে জেলাশাসক থেকে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

আর এই অভিযোগের তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির প্রধান করা হয় আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলা হয় 15 দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে। কিন্তু সেই রিপোর্টে কি উঠেছে তা কেউ জানতে পারেনা। ফলে পুরসভা পরিচালনায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এই দ্বন্দ্বের ফলে রামপুরহাট পুরসভায় সাত মাস ধরে উন্নয়নের জন্য কোন অর্থ আসেনি। ফলে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াতে হয়েছে। আর এই নিয়ে রামপুরহাট শহরের মানুষ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। যার জেরে রামপুরহাট শহরে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে‌। আর এতেই নাকি ক্ষুব্ধ হয়েছেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

রামপুরহাট পুরসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদানকারী সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ রানা জানান, ‘রামপুরহাট এর উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচটি পুরসভাকে সতর্ক করা হয়েছে। মানুষকে পাশে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান ‘কৃষি দপ্তরের কাজ থাকায় বোলপুরের সভায় যেতে পারিনি। তবে দল যে নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ী কাজ করব। আর সভায় কি হয়েছে সেটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নজর দিয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এভাবে মুখ খোলায় বোলপুরের মানুষজন অনুব্রত মণ্ডলকে মনে রাখবেন। অন্যদিকে, বিরোধীদলের দাবি প্রথম থেকেই তাঁরা এই দুর্নীতির ব্যাপারে মানুষকে সজাগ করে আসছেন। এতদিন পরে সেই দুর্নীতি ধরা পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যকে ঘিরে তৃণমূল সুপ্রিমোর কোন মন্তব্য শোনা যায়নি। আপাতত বোলপুরের রাজনৈতিক মহল লক্ষ্য রাখছে কিভাবে বোলপুরের দুর্নীতি শেষ হয়।যদিও এই সংবাদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরেও এই নিয়ে মুখ খোলেননি অনুব্রত মন্ডল। কোথাও দাবিও করেননি যে তিনি এমন কথা বলেন নি।

 

 যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!