প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের জনৈক বিচারপতির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা হীনতার বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির এজলাসে চলছে এক বড়োসড়ো আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলা। আর এই মামলার প্রধান অভিযুক্তর হয়ে লড়াই করছেন যে সিনিয়র আইনজীবী, তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি দিল্লিতে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে বিচারপতির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

তিনি জানতে চেয়েছেন পুরো বিষয়টি। তিনি প্রশ্ন করেছেন বিষয়টি ঠিক কী হয়েছে? তা জানতে চান তিনি। কারণ এমন ঘটনা ঘটলে বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা আছে। তিনি জানিয়েছেন, গণতন্ত্রকে যদি বাঁচাতে হয়, তবে বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো রকম আপস করা যায় না। এ বিষয়ে তৃণমূলের উপর চাপ বৃদ্ধির কৌশল নিয়েছে বিজেপি।

এরপর, এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। তিনি টুইট করে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেছেন যে, তাঁকে বলতে হবে তাঁর দলের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার এক সাংসদ তিনি একজন সিনিয়র আইনজীবী ও রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা, অশান্তির মামলায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে লড়াই করছেন। আবার একটি মেগা আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলার অভিযুক্তর আইনজীবীও তিনি। গত শনিবার সত্যিই দিল্লিতে কলকাতা হাইকোর্টের সেই বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কি তিনি?

তবে বিচারপতি কে? তাঁর নাম কেউই প্রকাশ করেননি। তবে, তাঁদের এই পদক্ষেপে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর। কোন বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তাঁরা এই বক্তব্য রেখেছেন? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র কৌতুহল। এবার বিজেপির পক্ষ থেকে, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, যা গণতন্ত্রর জন্যে ক্ষতিকারক, এমন কথা উল্লেখ করে প্রশ্ন রাখা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।