নিজের গড়ে দাঁড়িয়েই কর্মীদের ‘ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ বড়সড় বার্তা ও সতর্কবাণী শুভেন্দুর তৃণমূল মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য November 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তাকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। নানা সময়ে তার নানা ধরনের মন্তব্য আলোড়ন সৃষ্টি করছে গোটা বাংলা জুড়ে। আর এবার সতর্কবাণী দিতে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যেখানে বিগত দিনে বাম সরকারের আমলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের “235” এর কথা তুলে ধরে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। কিন্তু কেন হঠাৎ এই ধরনের মন্তব্য করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী? সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে পটাশপুর 2 ব্লকের আড়গোয়ালে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে বামেদের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “2009 সালে লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রাপ্ত ভোটের মার্জিন ছিল 1 লক্ষ 72 হাজার। কিন্তু 2014 সালের নির্বাচনে আমার সেই মার্জিন গিয়ে দাঁড়িয়েছে আড়াই লক্ষে। ভালো কাজ করলে মানুষের সঙ্গে থাকলে সমর্থন বাড়বে। ক্ষমতার দম্ভ দেখালে বামফ্রন্টের 235 এবং তার পরিণতির মতই পরিস্থিতি তৈরি হবে।” স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনের মন্তব্য এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। একাংশ বলছেন, নাম না করে কি তাহলে নিজের দলের শাসকবর্গদের এই কথা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী? তাহলে কি তার দলের কারও কারও দম্ভ তৈরি হয়েছে! আর সেই কারণেই এই ধরনের মন্তব্য করে সতর্ক বার্তা দিতে দেখা গেল তৃনমূলের এই শীর্ষ নেতাকে! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “2001 সালে মুগবেড়িয়া বিধানসভা এলাকায় বামফ্রন্টের মন্ত্রী কিরণময় নন্দের ভাই চৈতন্যময় নন্দ তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে নিজের দাদার বিরুদ্ধে লড়াই না করার কথা ঘোষণা করেন। সেই সময় দলের নির্দেশে আমি ওই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের আসনে লড়াই করেছিলাম। তবে আমি সেই সময় পরিচিত ছিলাম না। এক অজানা যুবক , এলাকার মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঠিক ছিল না। এলাকায় 18 টি বুথে ভোট লুট না হলে আমি জিতেই গিয়েছিলাম। আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাদের সঙ্গে আমার অনেককাল থেকে সুসম্পর্ক। তখন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। তাই আমি ছোট বয়স থেকে তাদের দেখে আসছি। সুসময়ে শুধু নয়, আমার সঙ্গে এই অঞ্চলের মানুষের দুঃসময়েও সম্পর্ক ছিল। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের আমার আহ্বান, বাংলা আবাস যোজনা প্রকল্পের নামের তালিকা সংসদে বসে ঠিক করুন। ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যাতে ক্ষতিপূরণ পান সেই ব্যবস্থা করুন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাহলে কি সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে কোথাও কোথাও দুর্নীতি হচ্ছে! আর তাই এদিন জনপ্রতিনিধিদের সতর্ক করে কার্যত সেই দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দুবাবুকে নিয়ে বর্তমানে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে। আর তার মাঝেই যেভাবে তিনি দুর্নীতির ব্যাপারে মন্তব্য করে দলের জনপ্রতিনিধির সতর্ক করে দিলেন, তাতে তার এই মন্তব্যে দল অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়তে শুরু করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুভেন্দু অধিকারী যদি এইভাবে একের পর এক কর্মসূচিতে গিয়ে মন্তব্য করতে শুরু করেন, তাহলে সামনের দিনে তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে তাকে সামাল দেবে, তা লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -