এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > নিজের জীবন বাজি রাখতে চলেছেন এই হেভিওয়েট নেতা!

নিজের জীবন বাজি রাখতে চলেছেন এই হেভিওয়েট নেতা!


ভারতীয় রাজনীতিতে গান্ধী পরিবারের নাম সবার আগে উচ্চারিত হলেও বর্তমানে গান্ধী পরিবারের জৌলুস রাজনৈতিক ময়দানে সেই ভাবে দেখা যায়না। গান্ধী পরিবার থেকে দেশের শেষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা গিয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজীব গান্ধীকে। এরপর থেকে গান্ধী পরিবারের পরিবারতন্ত্র এরপর আর বজায় থাকে না ভারতীয় রাজনীতিতে। কিন্তু এবার কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা দিগ্বিজয় সিং রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার জন্য এক চরম মন্তব্য করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

যা নিয়ে অবশ্য ইতিমধ্যেই গুঞ্জন দেখা দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। প্রসঙ্গত গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেসের ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এবং যথারীতি গান্ধী পরিবারের সঙ্গে বহু দিনের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়ের বলে খবর। সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক বহু পুরনো তাঁর। অন্যদিকে রাজনৈতিক ময়দানে অনেকেই দিগ্বিজয় সিংকে রাহুল গান্ধীর গুরু বা মেন্টর বলে বর্ণনা করেন। তবে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের অন্দরে দিগ্বিজয় সিং এর মর্যাদা যথেষ্টই কমে গেছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আর তাই দিগ্বিজয় সিং এর বদলে কমল নাথ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যতদিন ছিলেন দিগ্বিজয় সিং মধ্যপ্রদেশের আসনে, ততদিন মধ্যপ্রদেশে যথেষ্ট বিখ্যাত ছিলেন তার গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করা। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেসব দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া মানুষজন ছিলেন তাঁদের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন ঘটিয়েছিলেন দিগ্বিজয় সিং।

যার মধ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকরণ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন প্রোগ্রামে পঞ্চায়েতের হাতে যথেষ্ট ক্ষমতা ও সম্পদ প্রদান করা অন্যতম বলে মনে করা হয়। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষাকেও সর্বজনীন করে তোলেন দিগ্বিজয় সিং। এছাড়াও জলসেচ ও জলবিভাজিকা উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণ, জেলায় দারিদ্র দূরীকরণ প্রোগ্রাম, মধ্যপ্রদেশের হাসপাতাল পরিষেবা উন্নত করা এবং স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে রোগী কল্যাণ সমিতি এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষক এর মত উদ্যোগ গ্রহণ করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনিই প্রথম সারা দেশের সড়ক ব্যবস্হায় টোল ট‍্যাক্স নেবার ব্যবস্থা করেন। তাঁর শাসনকালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে প্রথমবার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা হয় বলে জানা যায়। এমনকি নর্মদা হাইড্রো প্রকল্পের কাজও শেষ হয় এবং নতুন প্রজন্মের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এরসাথে মধ্যপ্রদেশের বিদ্যুৎশক্তির ক্ষেত্রেও সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাঁর উদ্যোগে। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন দিগ্বিজয় সিং 1985-88 এবং 1992 পর্যন্ত.

এবং 1992 সালে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি দায়িত্বে থাকেন 2004 থেকে 2008 সালের মে মাস পর্যন্ত। অন্যদিকে 2004 সাল থেকে 2018 সালের মে মাস পর্যন্ত উড়িষ্যা, উত্তরাখন্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, অসম, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং গোয়া রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এমনকি ক্রিকেট, হকি, স্কোয়াশ এবং টেনিস খেলায় ইন্দোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেন্ট্রাল ইন্ডিয়া স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন বলে জানা যায়।

তবে সম্প্রতি তিনি যেভাবে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার জন‍্য প্রতিজ্ঞা করেছেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট গুঞ্জন তৈরী হয়েছে। অন‍্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখার আশা হয়তো কংগ্রেস কর্মীরা নিজেরাও রাখেন না। সে জায়গায় দিগ্বিজয় সিং এর মন্তব্য ঘিরে যথেষ্ট গুঞ্জন শুরু হয়েছে কংগ্রেস মহলে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে বর্তমানে দেশের শাসকের জায়গায় রয়েছে বিজেপি। পরপর দুবার তাঁরা দেশের সিংহাসনে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। এই অবস্থায় দিগ্বিজয় সিং এর মনোবাসনা আদৌ সফল হয় কিনা, সেদিকে লক্ষ্য থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!