নিম্নচাপের মাঝেই আসছে ভরা কটাল, আবার বড়সড় দুর্যোগ ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উপকূলে অন্যান্য আবহাওয়া June 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের উপরে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় যশ। রাজের উপকূলবর্তী এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে ভরা কটালের ফলে উপকূলবর্তী এলাকার বহুগ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে গিয়ে চাষবাস, মৎস্যচাষ যেমন বিপর্যস্ত করেছে, তেমনি বহু মানুষকে ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছে। এর কিছুদিন পর অমাবস্যার ভরা কটালে একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এদিকে নিম্নচাপের হাত ধরে দক্ষিণ বঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এর মধ্যেই আবার আসতে চলেছে ভরা কটাল। ফলে আবার বড়োসড়ো দুর্যোগের আশঙ্কা দানা বাঁধছে মানুষের মনে। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী ২৬ সে জুন ভরা কটাল আসতে চলেছে। যার ফলে সেদিন উপকূলবর্তী জেলাগুলি আবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এর উপরে শুরু হয়েছে রাজ্যে বর্ষার মরসুম। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে চলছে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি। তার মধ্যেই সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে আগামী ২৬ সে জুনের ভরা কটাল। এ কারণে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার জেলায় জেলায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায়, বেশ কিছু নদী এখনই ভরে উঠেছে । তার মধ্যেই উপস্থিত ভরা কটালের আতঙ্ক। কিছুদিন আগে অমাবস্যার ভরা কটালে বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রের জল স্তর ১৬ ফুটেরও বেশি ওপরে উঠে এসেছিল। ২৬ সে জুন ভরা কটালে তা আরও বেশি হবার সতর্ক বার্তা দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সেদিন সমুদ্র উপকূলবর্তী একাধিক গ্রাম প্লাবিত হতে পারে। তাই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে সেদিন। এদিকে ঘূর্ণিঝড় যশ ও জল ভরা কটালের ফলে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুন্দরবন এলাকায় ১৮০ কিলোমিটার নদী বাঁধ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হলেও, এখনো অনেক এলাকায় কাজ বাকি আছে। আর তার মধ্যে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, ফলে অধিকাংশ এলাকায় নদীগুলি ভরে এসেছে। এই অবস্থায় দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে রাজ্য সেচ দপ্তরকে। আপনার মতামত জানান -