এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে এযাবৎ কালের সবথেকে বড় শিক্ষক জমায়েত ও আন্দোলন আগামীকাল, ঝড় উঠতে চলেছে বিকাশ ভবন অভিযানে

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে এযাবৎ কালের সবথেকে বড় শিক্ষক জমায়েত ও আন্দোলন আগামীকাল, ঝড় উঠতে চলেছে বিকাশ ভবন অভিযানে


রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকদের এক বৃহদংশের অভিযোগ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং বা NIOS কর্তৃপক্ষের অমানবিক ও অনৈতিক সিদ্ধান্তে, বর্তমানে রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার প্রাথমিক, এস.এস.কে, এম.এস.কে ও বেসরকারী চাকুরীরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জীবন-জীবিকা আজ বিপন্ন। আর তাই, প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের জেরে কর্তৃপক্ষের দুই ‘অমানবিক’ সিদ্ধান্তে চাকরি খোয়ানোর আতঙ্কে ভুগছেন রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের ডাকে এযাবৎ কালের সবথেকে বড় শিক্ষক জমায়েত ও আন্দোলন হতে চলেছে আগামীকাল বলে দাবি সংগঠনের।

প্রসঙ্গত, গত ২০ ও ২১ শে ডিসেম্বর D.EL.ED পরীক্ষার ৫০৬ ও ৫০৭ পেপারের পরীক্ষা ২ টি প্রশ্নফাঁসের কারণে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য বাতিল ঘোষণা করা হয়। সর্বভারতীয় পরীক্ষা হলেও, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার দরুন শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনআইওএস কর্তৃপক্ষ – যার জেরে চূড়ান্ত অপমানিত রাজ্যের শিক্ষক মহল ক্ষোভে ফুঁসছেন। এনআইওএস-এর সরকারি ওয়েবসাইটে ঘোষণা দেখা গেল – বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০৬ ও ৫০৭ পেপারের পরীক্ষা একই দিনে হতে চলেছে। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারী ২ বিভাগে মোট ৬ ঘন্টা ধরে পরীক্ষা দিতে হবে রাজ্যের শিক্ষকদের। ফলে চূড়ান্ত অসুবিধার মুখে শিক্ষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এসবের জন্য চূড়ান্ত হয়রানির মুখে রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষক – রীতিমত চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন তাঁরা। কেননা, এইসবের পাশাপাশি বাকি থাকা ৫০৮ ও ৫০৯ অথবা ৫১০ পেপারের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৫ ও ১৬ ই মার্চ হতে চলেছে। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে গেছে এই পরীক্ষাগুলিতে বেশ বড় সংখ্যক পরীক্ষার্থী ফেল করে অথবা RW হয়। কিন্তু, এই প্রশিক্ষণ শেষ করার জন্য ৩১ শে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত NCTE শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষা শেষ করতে যদি ১৬ ই মার্চ লাগে, তাহলে ৩১ শে মার্চের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে সবাইকে পাশ সার্টিফিকেট কিভাবে দেবে? যাঁরা অকৃতকার্য হবেন, এত কম সময়ে তাঁদেরই বা কি হবে? এটা কি জেনেশুনে রাজ্যের শিক্ষকদের অসুবিধায় ফেলার জন্য পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে?

এইসবের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামের দাবি, আগামীকাল ঝড় উঠতে চলেছে বিকাশ ভবন অভিযানে – রাজ্যের বিভিন্ন কোনা থেকে কাল হাজার হাজার শিক্ষক বিকাশ ভবন অভিযানে যোগ দিতে চলেছেন। এখানে রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন। ফলে, এ যাবৎ কালের বৃহত্তম শিক্ষক আন্দোলনের ঝড় কাল আছড়ে পড়বে কলকাতার রাজপথে। কেউ বা কারা সুকৌশলে এই আন্দোলন ভেস্তে দিচ্ছে অপপ্রচার করছে যে আগামীকাল নাকি কোনো কর্মসূচি হচ্ছে না। কিন্তু, এই দাবি সম্পূর্ণ ভুল – আগামীকালের সমস্ত কর্মসূচি পরিকল্পনামাফিকই হতে চলেছে এবং তা ব্যাপক আকারে তীব্রতর রূপে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!