এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নিরাপত্তার প্রশ্নে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন

নিরাপত্তার প্রশ্নে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ রাখা নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ইতিপূর্বে, বাংলার নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশনের অভিজ্ঞতাও ভালো নয়। বেশকিছু নির্বাচনে গন্ডগোল, অশান্তি, ভোটলুঠ দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষককে। এবার আরো একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক রাজ্যে আসবেন বলে জানা যাচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।

সম্প্রতি, রাজ্যে এসেছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। জানা গেছে রাজ্যে আরো একজন পুলিশ পর্যবেক্ষক আসবেন। আগামী ১৭ ই মার্চ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মার রাজ্যে আসার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান, রুটমার্চ সহ বিভিন্ন বিষয়গুলোর ওপর নজরদারি করতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পূর্বে নির্বাচন কালীন সময়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় মোতায়েন করা হবে? কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ চলবে? এই বিষয়গুলোই সাধারণত জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকতো। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ প্রকাশ করেছেন একাধিক বিরোধী শিবির। বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গতে সরকার, প্রশাসন, শাসক দল এক হয়ে গেছে। তাই, প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো ব্যবহার করে না, উপযুক্ত স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পাঠায় না। ফলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিশেষ সুবিধা পেয়ে যায়।

এই অভিযোগ শোনার পর এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এবার তৎপর হলো। এবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির ওপর ভিডিওগ্রাফি করা হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোথায় রুটমার্চ চলবে? কোন বুথে যদি অশান্তি হয়, সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী উপস্থিত হচ্ছে কিনা? প্রশাসন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠিকমতো কাজে লাগাচ্ছে কিনা? এই বিষয়গুলো দেখভাল করবে নির্বাচন কমিশন। এভাবেই নিরাপত্তার প্রশ্নে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

আবার, বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষকদের জন্য নির্বাচন কমিশন হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছে, যাতে দ্রুত তাঁরা নানা স্থানে পৌঁছে যেতে পারেন। ইতিমধ্যেই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে রাজ্যের নানা স্থান পরিদর্শন করেছেন। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি, নির্বাচনী প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। এবার তাঁদের সঙ্গেই যুক্ত হবেন অপর পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল কুমার শর্মা। আবার আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ৮০০র বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোম্পানি রাজ্যে মোতায়েন করা হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে বিভিন্ন বিরোধী শিবির। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!