নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটিতে থাকলেই খুন হচ্ছেন হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক-নেতারা! পুজোর আগে উড়ছে ঘুম তৃণমূল মেদিনীপুর রাজ্য October 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজনৈতিক হত্যা এড়ানোর জন্য এবার নেওয়া হচ্ছে নতুন পদক্ষেপ। রাজনৈতিক হত্যা কোনো নতুন ব্যাপার নয়। কিন্তু শাসক দলের পক্ষ থেকে এবার তাঁদের দলের নেতাদের এবং জনপ্রতিনিধিদের সুরক্ষাবলয় আরও মজবুত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আর সেকারণেই এবার নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য নতুন নির্দেশ। দেখা যাচ্ছে, যেসব জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতারা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে চলেন, তাদের রক্ষীবিহীন অবস্থায় হত্যা করা হয়। তাই এবার ঠিক হয়েছে রাজ্য সরকারের নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কোনো নেতা বা জনপ্রতিনিধিকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রাখা হবেনা। নিরাপত্তারক্ষীদের ছুটি নিতে হলে তাঁদের জায়গায় বিকল্প নিরাপত্তারক্ষী আসতে হবে। তবেই ছুটি পাওয়া যাবে। গত বছরের শুরুর দিকে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। আবার গত বছর দুর্গা পুজোতে নবমীর রাতে দলীয় কার্যালয়ে খুন হন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি কুরবান শাহ। বিগত বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তারক্ষীরা ইচ্ছামতন আর ছুটি নিতে পারবেন না। কেউ যদি পুজোর ছুটি নিতে চান, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানা বা রিজার্ভ ইনস্পেক্টরকে জানিয়ে বিকল্প রক্ষী মোতায়েন করতে হবে আগে, তবেই ছুটি পাওয়া যাবে। দেখা যাচ্ছে যাঁরা খুন হয়েছেন গত বছর- সেই দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা যে সময়ে ছুটিতে ছিলেন, সেই সময়কে সঙ্গী করে সুযোগ কাজে লাগায় দুষ্কৃতীরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অতএব এধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই এবার কড়া নির্দেশ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং হয়েছে সম্প্রতি এবং সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যারা পুজোর সময় ছুটি নেবেন তাঁদের জায়গায় বিকল্প রক্ষী এলেই ছুটি মিলবে। সমস্ত থানাকেও এই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। সামনে আসছে দুর্গাপুজো, তারপরেই বিধানসভা নির্বাচন- এই দুই সময়কে একসাথে কড়া নজরে রাখা হচ্ছে। মেদিনীপুর জেলায় যাতে কোনো রাজনৈতিক হত্যার ঘটনা না ঘটে তার জন্য সদা সতর্ক মেদিনীপুর পুলিশ। অন্যদিকে তমলুকের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম হাসান জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু পুজোর সময় নয়, সারা বছর ধরেই এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক নেতাদের রক্ষা করার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও বিপদ কিন্তু যে কোন সময় আসতে পারে তাই সদা সতর্ক থাকতে হবে বিধায়ক নেতাদেরও, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যেকোনো রাজনীতিতেই হত্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আপনার মতামত জানান -