নির্বাচন লড়ার মত প্রার্থীই খুঁজে পেলোনা এই দল, তুমুল সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে রাজনীতি রাজ্য March 13, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যখন বাম এবং কংগ্রেস জোট বেঁধে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল, ঠিক সে সময় বাম কংগ্রেসের জোটে আবির্ভাব হয় আব্বাস সিদ্দিকীর তাঁর নতুন দল আইএফএসকে নিয়ে। এরপর বাম কংগ্রেস জোট পরিবর্তিত হয় মহাজোটে। মহাজোট তৈরি হলেও সেক্ষেত্রে এই জোট বাস্তবায়নের রাস্তায় বেশ কিছু বাধা দেখা যায়। যার মধ্যে অন্যতম হলো আসন রফা। বাম কংগ্রেসের মধ্যে আসন রফা ঠিকঠাক থাকলেও আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কিন্তু কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে এখনো টানাটানি চলছে। তবে সেই দড়ি টানাটানিতে এবার কংগ্রেস কিছুটা সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেল। কারণ আব্বাসের দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হল তাঁরা প্রার্থীর অভাবে চারটি আসন ছেড়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আব্বাসকে 30 টি আসন ছাড়া হয়েছিল বাম কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তার মধ্যে চারটি আসনে প্রার্থী দিতে পারলোনা আব্বাস সিদ্দিকীর দল। প্রথম থেকেই আব্বাস সিদ্দিকী আসন সংখ্যা বাড়িয়ে জোটের দিকে হাত বাড়ায়। বামেরা অবশ্য আব্বাস সিদ্দিকীকে কথা অনুযায়ী আসন দিলেও সমস্যা তৈরি হওয়া কংগ্রেসের সাথে। আব্বাস মুর্শিদাবাদ এবং মালদা- কংগ্রেসের জেতা আসনের দাবি করে বসে। যাতে এতদিন তাঁরা অনড় ছিল। কিন্তু কংগ্রেস কোনভাবেই এই দুই জেলার আসন ছাড়তে রাজি হয়নি। কিন্তু এরই মধ্যে এবার সংযুক্ত মোর্চা অস্বস্তির মুখে।কারণ আইএসএফ এর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা ত্রিশটির বদল এর 26 টি আসনে লড়বেন। কারণ, তাঁরা এখনো পর্যন্ত প্রার্থী খুঁজে পাননি। প্রসঙ্গত, ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ব্রিগেড সমাবেশে বহু সমর্থককে হাজির করে রীতিমতো চমক দিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, এবারের নির্বাচনে আব্বাস সিদ্দিকীর দল এক্স ফ্যাক্টর হতে চলেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রার্থী দিতে না পেরে পিছিয়ে গেল আইএসএফ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আপাতত জানা গেছে, নন্দীগ্রাম সহ আইএসএফ এর কোটার চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বামেরা। প্রথম দফা ভোটের 15 দিন আগে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের পিছিয়ে যাওয়ার খবর যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলেছে সংযুক্ত মোর্চাকে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবী, আব্বাস সিদ্দিকীর পিছিয়ে যাওয়া কার্যত সুবিধা করে দিল অধীর বাহিনীকে। জোটের সমস্যা কিন্তু এখনও রয়ে গিয়েছে মালদা জেলায়। সেখানে বামেদের জোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক তিনটি আসনের দাবি করলেও তাঁদের দাবি রাখা হয়নি। যার জেরে মনে করা হচ্ছে, বাম শরিকরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেন। একদম শেষ মুহূর্তে এসে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের প্রার্থী দিতে না পারার ঘোষণা নিয়ে যথারীতি রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। প্রথম থেকেই আব্বাস সিদ্দিকী যেভাবে দাবি জানিয়ে এসেছেন ভোটে লড়া নিয়ে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার চলছিলই। তবে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী খুঁজে না পাওয়া আখেরে আব্বাসের মুখ পুড়ল বলেই দাবী রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আপনার মতামত জানান -