এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > নির্বাচনের আগেই হাল ছাড়ছে বিরোধীরা! বিজেপির ক্ষমতায় আসা কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?

নির্বাচনের আগেই হাল ছাড়ছে বিরোধীরা! বিজেপির ক্ষমতায় আসা কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?

দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট স্থির হয়ে গেছে। একের পর এক রাজ্যগুলি নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সামিল হওয়ার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে। তবে এবার একটু অন্যরকম নির্বাচন হতে চলেছে সদ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়া কাশ্মীরে। 370 ধারা বিলোপের পর এই প্রথম কাশ্মীরে নির্বাচন হতে চলেছে। 370 ধারা বিলোপ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল সেই সময় সবকটি বিরোধীদল।

তাঁদের দাবি ছিল, 370 ধারা বিলোপ হওয়ার ফলে কাশ্মীরে জ্বলে উঠবে অশান্তির আগুন। কিন্তু বিরোধীদের সমস্ত আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে কাশ্মীর রয়ে গেছে কাশ্মীরেই। শান্ত, স্থির কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার পর থেকেই সেখানে ভোটের দিকে নজর রেখে সাংগঠনিক ভিত গড়েছে বিজেপি। 370 ধারা বাতিলের পর এই প্রথম কাশ্মীরে নির্বাচন হবে। তবে পঞ্চায়েত স্তরে নির্বাচনের আগেই বিরোধী শিবির ছত্রভঙ্গ।

বন্দী থাকা বিরোধী নেতা-নেত্রীরা যদিও মুক্তি পেয়েছেন কাশ্মীরে কিন্তু এখনও তাঁরা সঠিকভাবে যোগাযোগের আওতায় আসছেন না। ফলে বিজেপি এই সময়ের সম্পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে কাশ্মীরে। আঞ্চলিক স্তরে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যরা সেখানকার দলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না। কারণ তাঁরা আটক ছিলেন এতদিন, ফলে নিজ এলাকায় প্রভাব বজায় রাখতে নিচুতলার অনেক কর্মী-নেতা কাশ্মীরে বিজেপির ছত্রছায়ায় চলে আসছে। অতএব কাশ্মীরে বিরোধী শিবির একেবারেই তাদের জায়গা হারিয়ে ফেলছে।

ইতিমধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং কংগ্রেসের বেশ কিছু পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে অন্যান্য দলের বেশ কিছু প্রভাবশালী পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির সাথে যোগাযোগ করছেন বলে সূত্রের খবর। দলীয় নেতাদের সাথে যোগাযোগ না থাকায় এলাকার প্রভাব-প্রতিপত্তি বজায় রাখতে বিজেপিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাঁরা বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর থেকে 370 ধারা ও 35 এ ধারা তুলে নেওয়ায় কাশ্মীর এখন বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা পাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় এনসি, পিডিপি, কংগ্রেস এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দলীয় নেতারা 5 ই আগস্ট থেকে আটক রয়েছেন। ফলে এইসব দলের দলীয় প্রার্থীরা তাদের দলীয় নেতাদের সাথে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। 370 ধারা ও 35 এ ধারা তুলে নেওয়ার ফলে বর্তমানে জম্মু, কাশ্মীর এবং লাদাখ এই তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়েছে কাশ্মীর। এই বিভাজনের ফলে আঞ্চলিক দলগুলি সমস্যায় পড়েছে বলে জানা গেছে।

আর তাই উন্নয়নকে সঙ্গী করে এলাকার দখল বজায় রাখতে বিজেপিকে সমর্থন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন দলবদলকারী নেতাকর্মীরা। এই মুহূর্তে কাশ্মীরে বিজেপির অবস্থা সম্পর্কে একটি উদাহরণ দেওয়া যাক। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগামে সরপঞ্চ নিসার আহমেদ। তিনি একজন কংগ্রেস সদস্য। কিন্তু বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে কোন দল প্রার্থী দিচ্ছে না। অন্যদিকে আরো এক সরপঞ্চ জানাচ্ছেন, বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদেরকে নিষ্ক্রিয় করে কাশ্মীরে তাড়াহুড়ো করে নির্বাচন করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ আওয়াজ তোলার নেই।

কাশ্মীরের বেশিরভাগ পঞ্চ ও সরপঞ্চ শ্রীনগরের বিভিন্ন হোটেলগুলিতে সুরক্ষার আওতায় অবস্থান করছেন। তাঁদের তরফ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে উন্নয়ন করতে গেলে নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করতেই হবে। সমগ্র ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, কাশ্মীরে বিজেপি যেভাবে সংগঠন গড়ে তুলেছে, তাতে যে জয় বিজেপিরই হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যদিও এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের অনেক রাজনৈতিক নেতাই গৃহবন্দী হয়ে আছেন।

আর তাই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে কংগ্রেস এই নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বলে ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, মেহেবুবা মুফতি বা ওমর আবদুল্লার দলের নীচুতলায় সংগঠন কার্যত ছত্রভঙ্গ। আর তাই, বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারানোর পর – কাশ্মীরের প্রথম নির্বাচনেই কার্যত বাজিমাতের জায়গায় চলে গেছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখ থাকবে উপত্যকায় বিজেপি সংগঠন কিভাবে শক্তিশালী হয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে – সেই দিকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!