এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি বিজেপি নেতৃত্বে বড় বদল, কৌতুহল তুঙ্গে

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই তড়িঘড়ি বিজেপি নেতৃত্বে বড় বদল, কৌতুহল তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে গতকাল। এবার জোরদার প্রস্তুতির শুরুতেই গেরুয়া শিবির নিল বড়সড় সিদ্ধান্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপিতে চলছে আদি এবং নব্য নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। প্রসঙ্গত, নব্য নেতাদের বেশিরভাগই তৃণমূল থেকে গিয়েছেন এবং দেখা গেছে, গেরুয়া শিবিরে গিয়েই তাঁরা প্রথম সারিতে জায়গা পেয়েছেন। এই নিয়ে যাবতীয় ক্ষোভ আদি নেতাদের। ফলস্বরূপ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে আদি এবং নব্য নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের খাতিরে বিজেপির লড়াইকে দুর্বল করে দিচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। কিছুদিন আগেই বর্ধমান জেলার আদি ও নব্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ব্যাপকভাবে সামনে আসে।

এমনকি বিজেপির কার্যালয়ে হামলা হয়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে বর্ধমানের বিজেপি সভাপতি সঞ্জীব নন্দীসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে কৈফিয়ৎ দিতে হাজির হতে হয়। আর এবার নির্বাচনী ঘোষণার সাথে সাথেই শুক্রবার বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ নন্দীকে সরিয়ে দেওয়া হলো। নতুন বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি হলেন অভিজিৎ তা। অন্যদিকে আদি নেতারা সন্দীপ নন্দীর এই অপসারণকে নিজেদের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন। প্রসঙ্গত, সন্দীপ নন্দীকে সরানো না হলে বর্তমানে আদি-নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব অনেক বড় আকার ধারণ করত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনকি আদি বিজেপির নামে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছিল বর্ধমানে। জেলার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতেই শেষ পর্যন্ত সন্দীপ নন্দীকে সরানো হলো বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে এই অপসারণের বিষয়টি সামনে আসার পর সন্দীপ নন্দীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি নতুন জেলা সভাপতিকে অভিনন্দনের পাশাপাশি তাঁকে রাঢ়বঙ্গ জোনের বুথ ম্যানেজমেন্ট কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান। আদি বিজেপির তরফ থেকে কেশব চন্দ্র কোনার জানিয়েছেন, এই অপসারণ তাঁদের নৈতিক জয়। নতুন সভাপতি অভিজিৎ তা 72 ঘণ্টার মধ্যে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

এবং সেখানেই দাবি করা হবে, যেসব বিজেপি কর্মীদের কুকর্মের জন্য দলের ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে তাঁদেরকে নির্বাচনী প্রচার থেকে বাদ দেওয়ার জন্য। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, এই বিতর্ক এখানেই শেষ হবেনা। তবে একই সাথে এও মনে করা হচ্ছে এভাবে পরিস্থিতি না সামলাতে পারলে আরও বড়সড় গন্ডগোলের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছিল। আগামী 27 শে মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আটদফায় এই নির্বাচন সম্পন্ন হবে। আর সেদিকে তাকিয়েই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্যাকে তড়িঘড়ি সারিয়ে তোলার প্রচেষ্টায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!