এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা, শেষ দফার নির্বাচনের আগে অস্বস্তি!

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা, শেষ দফার নির্বাচনের আগে অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  করোনা ভাইরাস যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল, তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেছিলেন। যার ফলে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়ে যাতে যে সমস্ত দফা বাকি আছে, সেই দফার নির্বাচনে একসাথে করা হয়, তার জন্য চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি কমিশনে এই ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরেও কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের দফা কমানোর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

যার ফলে ভয়ংকরভাবে বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাস বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূলের একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নির্বাচন হওয়ার পরেই প্রয়াত হয়েছেন খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কাজল সিনহা। এদিকে দলীয় প্রার্থীর মৃত্যুর পরেই এই গোটা বিষয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করলেন প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।

সূত্রের খবর, আজ উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে এই অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করা হয়। যেখানে তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিনহার স্ত্রী এই অভিযোগ করেন বলে খবর। অর্থাৎ প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী এই অভিযোগ করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, যেখানে বিভিন্ন রাজ্যে কম দফায় নির্বাচন হয়েছে, সেখানে বাংলায় বেশি দফায় নির্বাচন করে তার স্বামীকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাই এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ তুললেন তিনি। যে ঘটনা বাংলার নির্বাচনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, ষষ্ঠ দফায় খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের আগেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। আর নির্বাচনের পরেই ক্রমশ তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রয়াত হন তিনি। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস যখন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, তখন নির্বাচন কমিশন কেন লাগাম টানছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আদালত। তার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন।

কিন্তু এবার উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অস্বস্তি বাড়িয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ করে প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থীর এই পদক্ষেপ শেষ দফার নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!