নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পদক্ষেপে মুখ পুড়লো তৃণমূলের, হাসি চওড়া গেরুয়া শিবিরের তৃণমূল বিজেপি বিশেষ খবর মেদিনীপুর রাজনীতি রাজ্য April 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী তথা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। গতকাল নির্বাচন চলাকালীন দুপুর একটার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বয়ালের ৭ নং বুথে গিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বহিরাগত গুন্ডা এনে অশান্তি করছে বিজেপি, ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, এই ৭ নম্বর বুথে ৮০% ছাপ্পা ভোট দেয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে নিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই বিশেষ পদক্ষেপে মুখ পুড়লো তৃণমূলের, অন্যদিকে হাসি চওড়া হলো গেরুয়া শিবিরের, এমনটাই একাধিক বিশ্লেষক এর মতামত। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেড় ঘন্টা সময় ধরে বয়ালের ৭ নং বুথে ছিলেন। তিনি চলে যাবার পর এই ৭ নম্বর বুথে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বেশ কিছুক্ষণ ছিলেন তিনি সেখানে। এরপর তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী বহিরাগত গুন্ডা এনে অশান্তির সৃষ্টি করছেন, ভোট দিচ্ছেন না দিতে, এই সমস্ত অভিযোগ তিনি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বয়ালের ৭ নং বুথে নির্বিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোন রকম বাধা আসেনি। জেনারেল অবজারভার হেমেন দাস এ বিষয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তার ওপর ভিত্তি করে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই বুথে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। তখন বুথের বাইরে ৩ হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছিলেন। তারা সবাই ভোট দিয়ে সেখান থেকে চলে গেছেন। ভোট হয়েছে নির্বিঘ্নে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এই বুথে মুখ্যমন্ত্রীকে দেড় ঘণ্টা ঘেরাও করা হলেও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বাধা আসে নি। গতকাল সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ওই বুথে ৯৯৩ জন ভোটারের মধ্যে ৭০২ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করার পর জেনারেল অবজারভার হেমেন দাস ও পুলিশ অবজারভার আশুতোষ রায়কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। এরপর বিকেল ৪ টে বেজে ৬ মিনিটে তাঁরা এ বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানেই জানানো হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী এখানে ছিলেন দেড় ঘন্টা সময় পর্যন্ত। তিনটে বেজে ৫৫ মিনিটে বুথ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে, এর ফলে ভোটদানে কোনো রকম বাধা বিঘ্ন ঘটে নি। অর্থাৎ, নির্বাচন কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছে, সেই রিপোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। আপনার মতামত জানান -