এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্বাচন কমিশনের কাছে আবার অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূলের

নির্বাচন কমিশনের কাছে আবার অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূলের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বিজেপি নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল,পূর্ব মেদিনীপুরের একটি জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কুরুচিকর বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির এই অভিযোগের পর মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব মেদিনীপুরের সভার বক্তব্যের ভিডিও নির্বাচন কমিশনের কাছে পেশ করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। জানা যাচ্ছে, এবার নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চের কাছে এই ভিডিওটি পেশ করা হতে পারে। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের।

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপিকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার হলো অপদার্থ, দাঙ্গাবাজ ও দুর্নীতি পরায়ন। বিজেপি শুধুমাত্র লুঠ, দাঙ্গা বাধাতে পারে। রাজ্যে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তবে বাংলার মা, মেয়েরা নিরাপদে থাকতে পারবেন না। মুখ্যমন্ত্রী আরো জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা বিজেপি চান না, লুঠ চান না, এমনকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ পর্যন্ত দেখতে চান না, দাঙ্গা চান না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুখ্যমন্ত্রীর এই তীব্র আক্রমনের পর বাঁকুড়ার সভা থেকে এর পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি যতই প্রশ্ন করেন, ততই তিনি রেগে যান। মুখ্যমন্ত্রী এখন জানাচ্ছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর চেহারা তাঁর পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রী জানান, গণতন্ত্রতে চেহারা নয়, দেখা হয় কাজ। প্রধানমন্ত্রীর চেহারা তাঁকে দেখতে হবেনা, কিন্তু বিজেপি প্রার্থীদের চেহারা তাঁর মনে থাকবে।

পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির এই অভিযোগের পর প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সেদিনের বক্তব্যের ভিডিও নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। আবার সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের একটি বৈঠক হতে পারে। বৈঠকের দিনে এই ভিডিওটি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন কমিশন কি পদক্ষেপ নেয়? সেদিকে দৃষ্টি সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!