প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে আপত্তিকর বক্তব্য রাখার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে ২৪ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের সতর্কতার পরেও প্ররোচনামূলক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার দ্বারা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলো বিজেপি।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশকে প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা মূলক বক্তব্য রাখছেন। নির্বাচন কমিশনের সতর্কতার পরেও প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির অভিযোগ, নদীয়ার এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন যে, বিজেপির কথায় না চলতে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিজেপির কথায় না চলতে। তারা আজ আছে, কাল নেই। বিজেপির অভিযোগ, এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর দ্বারা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন তিনি। আজ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠালো বিজেপি। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।

মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় জানালেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, বিজেপির হয়ে কাজ না করতে। তাঁর প্রশ্ন, তবে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করে? এর মাধ্যমে আসলে কি বোঝাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন্দ্রীয় বাহিনীকে তিনি বলেছেন যে, তাঁদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কথা না শুনতে। তিনি অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশকে প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যদিকে, আজ ফারাক্কার সভা থেকে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, এবারের নির্বাচন হলো দিল্লির সঙ্গে বাংলার লড়াই। পুরো দিল্লি একদিকে আর বাংলা আছে অন্যদিকে। ইংরেজরা বাংলা দখল করতে এসেছিল, এখন বিজেপি বাংলা দখল করতে এসেছে। কিন্তু বাংলার মানুষ জিতবে, বিজেপি হারবে। তিনি হলেন মানুষের পাহারাদার।