প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফলাফলের পর এক মাসের মধ্যেই কোচবিহার জেলার দিনহাটার দাপুটে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও হামলার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, এক ব্যবসায়ীকে ফোন করে ৫০ লক্ষ টাকার দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি না মানায়, ব্যবসায়ীর বাড়িতে দলবল নিয়ে হামলা ও তাঁকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পুলিশ সবকিছু জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ চলে যাবার পর ব্যবসায়ীর বাড়িতে জড়ো হয়েছেন তৃণমূল নেতা তাঁর দলবল সহ।

দিনহাটার জনৈক ব্যবসায়ী নয়ন চন্দ অভিযোগ করেছেন যে, গত ২৬ সে মে রাত্রিকালীন কারফিউর সময় দলবল নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন। পুলিশ সেখানে এসেও চলে যায়। তিনি জানিয়েছেন, বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজের মধ্যে সমস্ত দৃশ্য ধরা পড়ে গেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, ইতিপূর্বে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বলে আবার ফিরে যায়।

পুলিশ চলে যাবার পর তাঁর বাড়িতে এসে ঢিল ছোড়েন ও বাড়ির গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেন। সেই সঙ্গে তাঁকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে তিনি অত্যন্ত আশঙ্কিত রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৬ সে মে তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন ও মিঠুন চক্রবর্তী তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাড়ির দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করেছিলেন।

দিনহাটা থানার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগের পর এই ঘটনায় কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্ননের কাছে অভিযোগ করেছেন নয়ন চন্দ। তবে, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃনমুল নেতা নুর আলম হোসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসায়ী নয়ন চন্দর বাড়ীতে হামলা ও তাঁর কাছে টাকা চাওয়ার ঘটনার কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। তাঁর এক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে নয়ন চন্দ অনেক টাকা নিয়েছেন। সে টাকা তিনি চাইতে গিয়েছিলেন। তাঁর বাড়িতে কোনো হামলা করা হয়নি।

তৃণমূল নেতা যে সাফাই ই দিন না কেন? ভোট মিটে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে হুমকি, তোলাবাজি, হামলার অভিযোগ যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বারবার দলে স্বচ্ছতা আনার কথা ঘোষণা করেছেন, সেখানে দলের নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ যথেষ্ট অস্বস্তিকর বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি।