এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নির্বাচন মিটতেই উধাও পিকে,‌ বিস্ফোরক কল্যাণ!

নির্বাচন মিটতেই উধাও পিকে,‌ বিস্ফোরক কল্যাণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-    2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে 18 টি আসনে পরাজিত হওয়ার পরেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। সঠিক পরামর্শদাতার অভাব, জনপ্রতিনিধিদের দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি চারিদিক থেকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় ঘাসফুল শিবিরকে। আর এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনের পরেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে।

যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক কটাক্ষ করে বিরোধীরা। মানুষের টাকা খরচ করে তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে বাইরে থেকে ভাড়া করে লোক নিয়ে এসেছে বলে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। এমনকি প্রশান্ত কিশোরকে দিয়ে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলেও দাবি করতে দেখা যায় একাংশকে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে মিথ্যে করে দিয়ে তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্যের ক্ষমতায় বসাতে যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন সেই প্রশান্ত কিশোর।

তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সেভাবে সেই প্রশান্ত কিশোরের নাম শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না তৃণমূলের অন্দরে। এমনকি নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় আইপ্যাকের টিমের পক্ষ থেকে তৃণমূলের সমস্ত প্রার্থী থেকে শুরু করে নেতাদের কিভাবে পথ চলতে হবে, সেই সমস্ত কিছু রণনীতি ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল। আর এখন তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ যে এখনও পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে, সেই ব্যাপারে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে গুঞ্জন ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

বস্তুত, তৃণমূল তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল করার পরই প্রশান্ত কিশোরকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখনও তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তবে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সঙ্গে তৃণমূলের এখনও পর্যন্ত গাঁটছড়া রয়েছে, নাকি নিজের দায়িত্ব সামাল দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর, তা নিয়ে তৃণমূলের নিচুতলার অনেক কর্মী-সমর্থকদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে সেই প্রশ্নের উত্তর দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি যতদূর বুঝেছি, প্রশান্ত কিশোর ভোটের কৌশলে সিদ্ধহস্ত। আমার সঙ্গে অনেকবার ওনার সাক্ষাৎ হয়েছে। ওনার মাথা ভীষণ ঠাণ্ডা এবং ক্ষুরধার। আমাদের দলে এখনও ওনার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনেও নেওয়া হতে পারে। যোগ্য লোকের কাছ থেকে সব সময় পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।”

আর তৃনমূল সাংসদের এই বক্তব্যে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোরকে অত সহজে ছাড়তে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা সামনেই 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতা দখল করার পর এখন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তার লাভ করার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেদিক থেকে প্রশান্ত কিশোর ভারতবর্ষের রাজনীতি সম্পর্কে অত্যন্ত অভিজ্ঞ এবং বিচক্ষণ।

তাই তাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে ভারতবর্ষে যাতে অন্যতম নির্ণায়ক শক্তির ভূমিকা পালন করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, তার জন্য এখনও পর্যন্ত তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে আগামী দিনে এভাবেই আড়াল থেকে তৃণমূলের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেন প্রশান্ত কিশোর, নাকি সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের হয়ে প্রকাশ্যে ব্যাটিং করতে দেখা যায় তাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!