এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর কে হবেন দলের কান্ডারী? কে বইবেন বঙ্গ বিজেপির ভার? জল্পনা গেরুয়া শিবিরে

নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর কে হবেন দলের কান্ডারী? কে বইবেন বঙ্গ বিজেপির ভার? জল্পনা গেরুয়া শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য একেবারেই আসেনি। রথী-মহারথীরা কেউই দলকে বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭ টি আসন নিয়ে বিজয়রথ থেমে গিয়েছে বিজেপির। দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকেই দলের রাজ্য সভাপতির ভূমিকা নিয়ে বারবার নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দলের দায়িত্বে থাকা পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন।

দলের এই শোচনীয় পরাজয়ের পর দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য সভাপতির কার্যাবলী নিয়ে। অনেকেই রাজ্য সভাপতির উপরে ক্ষুব্ধ। অনেকে মনে করছেন যে, বাঙালির মন বুঝে উঠতে খুব একটা সক্ষম হতে পারেন নি দিলীপ ঘোষ। বারবার বিতর্কিত মন্তব্য, কঠোর বাক্যবাণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা প্রশ্ন। তিনিই কি রাজ্য বিজেপির কান্ডারী থাকবেন? নাকি তাঁর পরিবর্তে অন্য কেউ রাজ্য বিজেপির হাল ধরবেন? তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যতটা কাটাছেঁড়া হোক না কেন, সংঘ পরিবার কিন্তু এখনো তাঁর ওপরে যথেষ্টভাবে আস্থাশীল। রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩ থেকে ৭৭ করেছেন তিনি। এ কারণেই আগামী বছরের ডিসেম্বর মাসে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকে আবার রাজ্য সভাপতির পদে অধিষ্ঠিত করা হবে বলে, জানা যাচ্ছে। তাঁর লড়াকু মানসিকতার ওপর যথেষ্ট আস্থা রেখেছে সংঘ পরিবার। এ কারণে আগামী লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দলের কান্ডারী থাকবেন বলে, জানা যাচ্ছে বিজেপি সূত্রে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্য বিজেপির দায়িত্বে আছেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৫ সাল থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হবার পর তাঁকে আবার রাজ্য সভাপতির পদে আনা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকায় তাঁর অভিজ্ঞতাও অনেক। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বে দল যথেষ্ট সাফল্য লাভ করেছিল। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও তিনি দলকে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে পারবেন বলেই যথেষ্ট আস্থাশীল সংঘ পরিবার। বিজেপির অন্যতম মূল স্তম্ভ সংঘ পরিবার তাঁর উপর খুশি থাকায়, তিনি পদে থেকে যাবেন বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।

কিন্তু রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর যথেষ্ট ক্ষুব্দ সংঘ পরিবার। দলের এই পরাজয়ের জন্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, শিব প্রকাশ প্রমুখের উপরে রয়েছে সংঘ পরিবারের অসন্তোষ। এ কারণেই রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষকের পদ হারাতে পারেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর স্থলে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা তরুণ চুঘ। পরাজয়ের গ্লানি ছেড়ে ঝেড়ে ফেলে আবার নতুন করে উঠে দাঁড়াতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!