এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার ব্যয় সংকোচের সিদ্ধান্ত বিজেপির

নির্বাচনে পরাজয়ের পর এবার ব্যয় সংকোচের সিদ্ধান্ত বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের পূর্বে যেভাবে লোকসমাগম ছিল বিজেপির হেস্টিংসের কার্যালয়তে, এখন আর তা নেই। লোকসমাগম অনেক কমে গেছে নির্বাচনি কার্যালয়তে। নির্বাচনের পূর্বে রাজ্য দপ্তরে স্থান সংকুলান না হওয়ায় এই কার্যালয়ের ৪ টি তলা ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। যার ভাড়া মাসে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। এখন লোক সমাগম কমে যাওয়ার কারণে হেস্টিংসের এর শুধু আটতলাটি দলের হাতে রেখে বাকিগুলো ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। এর ফলে কিছুটা ব্যয়ভার কমানো যাবে।

বিজেপির রাজ্য দপ্তর রয়েছে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে। এখানে বিজেপির সমস্ত পদাধিকারীদের জন্য যেমন আলাদা করে ঘর রয়েছে, তেমনি অতিরিক্ত ঘরও রয়েছে। এর পেছনে রয়েছে একটি বিল্ডিং। সেখানেও অনেক ঘর রয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত সমস্ত কাজকর্ম এখান থেকেই করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানাভাব দেখা দেবার কারণে হেস্টিংসে নির্বাচনী দপ্তর করা হয়েছিল। সেখানে ১০ তলা বাড়ির ৪ টি তলায় ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।

এখানকার পাঁচ তলায় রয়েছে বিজেপির মিডিয়া সেন্টার ও আইটি সেন্টার, সাত তলায় রয়েছে কল সেন্টার। আট তলায় রয়েছে নেতাদের জন্য আলাদা আলাদা ঘর। ভোটের আগে প্রচুর মানুষ এখানে আসতেন। কল সেন্টারে কাজ করতেন কয়েকশো মানুষ। নির্বাচনে পরাজয়ের পর এগুলোতে শূন্যতা বিরাজ করছে। অথচ এর ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে চলে যাচ্ছে আড়াই লক্ষ টাকা। তাই শুধু আটতলা হাতে রেখে বাকি সমস্ত ছেড়ে দেয়া হবে বলে, জানা যাচ্ছে। এখান থেকে তুলে নিয়ে আবার দলের সমস্ত কাজ মুরলীধর সেনের রাজ্য দপ্তর থেকে করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই সদর দপ্তর থেকে কাজ করে বিজেপি অভূতপূর্ব ফল লাভ করেছিল। রাজ্য বিজেপির এক নেতা জানালেন, ধর্মতলা থেকে কাছে মুরলীধর সেন লেনে পৌঁছানো যতটা সহজ, গার্ডেনরিচের কাছে হেস্টিংসে পৌঁছান ততটা সহজ নয়। কারণ হেস্টিংসের দপ্তরের সামনে মেট্রো পাওয়া যায়না। সরাসরি বাসে করেও যাওয়া অসম্ভব। নেতাদের গাড়ি করেই এখানে যাতায়াত করতে হয়। তাতে সমস্যা যথেষ্ঠ হয়েছে। মুরলীধর সেন লেনের কার্যালয় থেকে কাজ করা সুবিধাজনক বলে জানান তিনি।

সমস্ত কিছু বিচার-বিবেচনা করে হেস্টিংসের মাত্র ৮ তলা রেখে দিয়ে বাকিগুলো সব ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সামনে কোনো নির্বাচন না থাকায় রাজ্য দপ্তরে বসেই দলের সমস্ত কাজকর্ম করতে কোন অসুবিধা হবে না বলেই, মনে করছেন দলের একাধিক নেতা নেত্রী। এ কারণে চলতি মাস থেকেই সমস্ত কাজকর্ম আবার মুরলীধর সেনের কার্যালয়তে স্থানান্তর করার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্য বিজেপির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!